ড. ইউনূসের যুদ্ধাবস্থা বনাম ঘোড়ার মাংস: ধূর্ততার মহাকাব্য

যখন দেশজুড়ে এক মহাগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে—”ঘোড়ার মাংস খাওয়া যাবে কি যাবে না?“— তখনই আবির্ভূত হলেন সেই মহাবুদ্ধিমান, মহাতেজস্বী ড. ইউনূস! তিনি ঘোষণা দিলেন—দেশ যুদ্ধাবস্থায়! মুহূর্তেই সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ঘুরে গেল!

ড. ইউনূস হুট করে কেন ঘোষণা করলেন যে, দেশ যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে। তিনি সাধারণত হিসাব-নিকাশ করেই কথা বলেন, তাই “যুদ্ধাবস্থা” শব্দটির প্রেক্ষাপট বোঝার চেষ্টা করা যেতে পারে।

ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায়, খায়বারের যুদ্ধে মুসলমানরা মারাত্মক খাদ্যসংকটে পড়েছিলেন। তাদের কাছে থাকা খাদ্য দ্রুত শেষ হয়ে গেলে কিছু সাহাবি একপর্যায়ে একটি খচ্চর জবাই করেন। তবে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের জানান যে, খচ্চরের মাংস খাওয়া অনুমোদিত নয়। এর পরিবর্তে তিনি তাদের ঘোড়া জবাই করার অনুমতি দেন।

এই সিদ্ধান্তের মূল কারণ ছিল যুদ্ধের ময়দানে মুসলিম বাহিনীর শক্তি ধরে রাখা। জীবন বাঁচানো ফরজ, আর দুর্বল হয়ে পড়লে যুদ্ধে হেরে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতো। যদি খাদ্যের অভাবে সৈন্যরা অসুস্থ হয়ে পড়ত বা খাবারের সন্ধানে মদিনায় ফিরে যেতে বাধ্য হতো, তাহলে শত্রুপক্ষ সহজেই তাদের পরাজিত করতে পারত। তাই এই বিশেষ পরিস্থিতিতে আল্লাহর নির্দেশে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঘোড়ার মাংস খাওয়ার অনুমতি দেন।

হযরত জাবির (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বলেন— “খায়বারের যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের গাধার মাংস খেতে নিষেধ করেছেন এবং ঘোড়ার মাংস খাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন।”
📜 (সহিহ বুখারি, হাদিস নং-৫৫২০; মিশকাত, হাদিস নং-৪১০৭)

তবে এটি ছিল নির্দিষ্টভাবে যুদ্ধকালীন এক পরিস্থিতির জন্য নেওয়া সিদ্ধান্ত। পরবর্তীকালে সাধারণ পরিস্থিতিতে ঘোড়ার মাংস খাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়।

ড. ইউনূস আসলে ধূর্ততার এক অনন্য উদাহরণ! ক্ষুদ্র ঋণের নামে গরিবদের সর্বস্বান্ত করে, সুদের ফাঁদে ফেলে, তারপর দুনিয়াকে তিনি এমনভাবে বোঝালেন যেন তিনিই গরিবের ত্রাণকর্তা! এই কৌশলেই তো তিনি নোবেল জয় করেছেন!

এমন একজন ব্যক্তি কি আর জনসাধারণের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে ব্যর্থ হন? তাই যখন ঘোড়ার মাংস খাওয়া নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছিল, ঠিক তখনই তিনি ঘোষণা করলেন— “দেশ যুদ্ধাবস্থায় রয়েছে!”, আর যুদ্ধাবস্থা তো ঘোড়ার মাংস খাওয়া যেতেই পারে।

এই চতুর চালের জন্যই হয়তো আবু ত্বহা মোহাম্মদ আদনান তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন! বাহবা দেবেন নাই বা কেন? ধোঁকাবাজিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া তো আর যে-সে ব্যাপার নয়!

লিখেছেনঃ এস এইচ চৌধুরী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *