একদিকে ড. ইউনূস সাহেব মুখে বলছেন, “আমাদের সমালোচনা করুন, মন খুলে বলুন”।
অন্যদিকে সাংবাদিক প্রশ্ন করলেই চাকরি শেষ, চ্যানেল ব্লক, নিউজ কভারেজ বন্ধ। বাহ্, কী অসাধারণ গণতন্ত্র!
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সাহেব তো যেন ‘স্বাধীনতা কসাই’ পদক পাওয়ার যোগ্য! তিনজন সাংবাদিক শুধু প্রশ্ন করেছিল—আর উনার নির্দেশেই তারা চাকরিচ্যুত আর একটা পুরো টিভি চ্যানেল ব্ল্যাকলিস্ট! কি সাংস্কৃতিক উদারতা, কি অসাধারণ সহনশীলতা!
এই দেশে এখন সবচেয়ে ভয়ংকর কাজ কী জানেন?
সত্য বলা। প্রশ্ন করা। বিবেক ব্যবহার করা।
কারণ এগুলো করলেই আপনি হবেন “রাষ্ট্রদ্রোহী সাংবাদিক”, “উগ্র প্রশ্নকারী”, কিংবা “দেশের শত্রু”।
শান্তির মিছিল করে এসে যাদের কাজ ছিল শান্তি আনা, তারা এখন টিভি চ্যানেলে তালা লাগায়, সাংবাদিককে পথে বসায়। এটাই যদি “নবউদারতন্ত্র” হয়, তবে স্বৈরতন্ত্র তো এখন বাচ্চাদের খেলা!
বাকস্বাধীনতা এখন একটা জোক্স, সমালোচনা এখন অপরাধ,
আর প্রশ্ন করা? ওটা তো এখন জাতীয় বিপ্লবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
তাই বলছি ভাই,
চুপ থাকুন। হাসুন। মাথা নেড়ে সব মেনে নিন।
কারণ নতুন স্লোগান হলো—
“সরকার ভালো, প্রশ্ন খারাপ!”