মার্কিন বসদের কাছে পাঠানো ড. ইউনূসের গোপন প্রতিবেদন ফাঁস; সময়মতো দেশ বিক্রির অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করতে না পারার আশঙ্কা
কার্টুনুস ডেইলি প্রতিবেদক, ঢাকা: ক্ষমতা দখলের পর দেশব্যাপী অরাজকতা সৃষ্টি এবং নির্ধারিত সময়ে ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ সম্পন্ন করতে ৫ আগস্টের পর মুক্তিপ্রাপ্ত জঙ্গিদের চরম ব্যর্থতায়, তীব্র হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বর্তমান পুতুল সরকারের সর্বময় কর্তা ও ডিপার্টমেন্ট অফ পুতুলবাজির দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের প্রধান ফিল্ড অপারেটর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর সদর দপ্তরে পাঠানো তাঁর একটি অতি গোপনীয় ত্রৈমাসিক পর্যালোচনা প্রতিবেদন ফাঁস হওয়ার পর এই চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
‘প্রজেক্ট খ্রিস্টানল্যান্ড (Q3)’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে ড. ইউনূস তাঁর মার্কিন বসদের কাছে নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেছেন এবং তাঁরই নিয়োগ দেওয়া জঙ্গিদের ‘অপদার্থ’ ও ‘ভেজাল মাল’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
কার্টুনুস ডেইলির হাতে আসা ওই প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ড. ইউনূস তাঁর বসদের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করে স্নাইপার বিপ্লব ‘অন টাইম’ এবং ‘আন্ডার বাজেটে’ সম্পন্ন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে, প্রতিবেদনের পরের অংশেই তিনি তাঁর হতাশার কথা তুলে ধরেন। তিনি লিখেন, “আপনাদের নির্দেশনা মতো, আমাদের সকল ‘হাই-ভ্যালু অ্যাসেট’ (জঙ্গিবাহিনী)-কে কারাগার হইতে মুক্ত করিয়া দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং অরাজকতা সৃষ্টির দায়িত্বে মোতায়েন করা হইয়াছে। কিন্তু দুঃখের সহিত জানাইতে হইতেছে যে, এই অ্যাসেটদের পারফর্মেন্স অত্যন্ত হতাশাজনক।”
জঙ্গিদের অদক্ষতার ফিরিস্তি
প্রতিবেদনে জঙ্গি কমান্ডারদের অদক্ষতা ও ব্যর্থতার একটি দীর্ঘ তালিকা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জঙ্গিরা দেশব্যাপী বোমাবাজি বা আতংক ছড়ানোর পরিবর্তে নিজেদের জন্য ভালো বেতন ও ঝুঁকি ভাতার দাবিতে ইউনিয়ন গঠন করেছে। এমনকি দুপুরের খাবারে ‘খাসির বিরিয়ানি’ না পাওয়ায় তারা ধর্মঘটের হুমকিও দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
সবচেয়ে হাস্যকর তথ্যটি হলো বোমা নির্মাণে জঙ্গিদের অদক্ষতা। প্রতিবেদনে বলা হয়, “আমাদের বোমা নির্মাণ কর্মশালাগুলির ৯০ শতাংশই ব্যর্থ। অ্যাসেটরা আইইডি (IED)-এর কাঁচামালের সহিত বিরিয়ানি মসলার উপকরণ মিলাইয়া ফেলিতেছে। গত সপ্তাহে একটি গুরুত্বপূর্ণ পাওয়ার প্ল্যান্ট উড়াইয়া দেওয়ার মিশনে পাঠানো টিম ঘটনাস্থলে গিয়া একটি সুস্বাদু ‘দম বিরিয়ানি’ রান্না করিয়া ফিরিয়া আসিয়াছে।”
এই সকল ব্যর্থতার কারণে দেশে মার্কিন সৈন্য প্রবেশের জন্য প্রয়োজনীয় অজুহাত তৈরি করা যাচ্ছে না বলেও তিনি তাঁর বসদের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
হুমকির মুখে মূল অ্যাসাইনমেন্ট
জঙ্গিদের এই চরম অপদার্থতার কারণে মূল প্রকল্প, অর্থাৎ সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও পার্বত্য চট্টগ্রামকে আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়াটি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে ড. ইউনূস তাঁর প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন। তিনি লিখেন, “দেশে যথেষ্ট অরাজকতা না থাকায়, সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে সাধারণ জনগণ হইতে বিচ্ছিন্ন করিবার জন্য ‘পরিবেশগত জরুরি অবস্থা’ বা ‘এনভায়রনমেন্টাল মার্শাল ল’ জারি করা যাইতেছে না। ফলে দ্বীপটিতে জোর জবরদস্তি করে পর্যটক নিষিদ্ধ করা গেলেও, আমেরিকাকে ফাইনাল ডেলিভারি দিতে বিলম্বিত হইতেছে।”
এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য ড. ইউনূস তাঁর বসদের কাছে কয়েকটি জরুরি সুপারিশও করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে স্থানীয় জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে অভিজ্ঞ ‘ফ্রিল্যান্স জঙ্গি’ ভাড়া করে আনা এবং বোনাস কাঠামো পরিবর্তন করে ‘সফল হামলা প্রতি বোনাস’-এর বদলে ‘হামলার চেষ্টা প্রতি বোনাস’ চালু করার মতো অদ্ভুত প্রস্তাবও ছিল।