১২টি হাতির মৃত্যুর পর সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের আজব যুক্তি!

১২টি হাতির মৃত্যুর পর সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের আজব যুক্তি! Syeda Rizwana Hasan's bizarre logic after the deaths of 12 elephants! ১২টি হাতির মৃত্যুর পর সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের আজব যুক্তি! Syeda Rizwana Hasan's bizarre logic after the deaths of 12 elephants!

বিশেষ প্রতিনিধি, দৈনিক কার্টুনুস: বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, বিশেষ করে হাতি রক্ষা, একটি অত্যন্ত গুরুতর এবং উদ্বেগের বিষয়। প্রতিনিয়ত বনভূমি সংকোচন, খাদ্যের অভাব এবং মানুষ-হাতি দ্বন্দ্বের ফলে হুমকির মুখে পড়ছে এই বিশাল প্রাণীটি। সম্প্রতি এক বছরে ১২টি হাতির মৃত্যুর খবরে যখন পরিবেশকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে, ঠিক তখনই এক যুগান্তকারী সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তবে তার এই সমাধান প্রচলিত সব ধারণাকে পেছনে ফেলে দিয়েছে, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে হাস্যরস।

বিশ্ব হাতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান হাতিদের মৃত্যুর কারণ হিসেবে এক অভিনব ‘সাইকোলজিক্যাল’ তত্ত্ব উপস্থাপন করেন। তার মতে, হাতিরা বন উজাড় বা চোরাশিকারির কারণে ততটা মরছে না, যতটা মরছে ডিপ্রেশন, আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং সিদ্ধান্তহীনতার মতো মানসিক সমস্যায় ভুগে! এই ভিডিওটিতে আপনি দেখতে পাবেন, কীভাবে তিনি তার ভাষণে এই অদ্ভুত তত্ত্বের ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

ভিডিওতে উপস্থাপিত উপদেষ্টার ভাষণ অনুযায়ী, কোনো হাতি মারা গেছে ‘কনফিডেন্সের অভাবে’ চোরাশিকারির সামনে ভয় পেয়ে, কোনোটি আবার ‘ডিসিশন প্যারালাইসিস’-এ ভুগেছে কলা আর কাঁঠালের মধ্যে কোনটি খাবে তা ভাবতে ভাবতে, আবার কোনোটি মারা গেছে নিছকই ‘বোরডম’ বা একঘেয়েমি থেকে, কারণ তার জীবনে কোনো ‘ক্যারিয়ার গোল’ ছিল না! এমন সব অভাবনীয় যুক্তির মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, হাতিদের শারীরিক সুরক্ষার আগে প্রয়োজন মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি।

এই ‘গবেষণালব্ধ’ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই তিনি ঘোষণা করেন তার মস্তিষ্কপ্রসূত ঐতিহাসিক মেগা প্রকল্প ‘অপারেশন গজরাজ জাগরণ’। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো, বন্দুক বা বেড়া দিয়ে নয়, বরং মোটিভেশনাল ট্রেনিং এবং কর্পোরেট কৌশল প্রয়োগ করে হাতিদের মন থেকে সকল প্রকার নেতিবাচক চিন্তা দূর করা। ভাবুন একবার, দেশের সেরা লাইফ কোচরা জঙ্গলে গিয়ে হাতিদের শেখাচ্ছেন ‘পজিটিভ থিংকিং’, ‘টিম বিল্ডিং’ আর ‘দ্রুত সিদ্ধান্ত’ নেওয়ার উপায়!

এই রম্য প্রতিবেদনটি কেবল বিনোদনের জন্য নয়, এটি আমাদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের চিন্তাভাবনা এবং বাস্তবতার মধ্যে যে বিস্তর ফারাক, তাকেই ব্যঙ্গাত্মকভাবে তুলে ধরে। গুরুতর একটি সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে যখন এমন সব পরাবাস্তব সমাধান সামনে আসে, তখন হাসিঠাট্টার মাধ্যমেই হয়তো সেরা প্রতিবাদটি করা যায়। উপদেষ্টার এই পরিকল্পনা হাতিদের বাঁচাতে পারবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে, তবে এটি যে নেটদুনিয়ায় হাসির খোরাক জুগিয়েছে, তা নিশ্চিত।

#, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *