বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্দরমহল: মিশনে জুনিয়র অফিসার, ‘হোম ফ্রন্টে’ সিনিয়র

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্দরমহল: মিশনে জুনিয়র অফিসার, ‘হোম ফ্রন্টে’ সিনিয়র। The Inner World of the Bangladesh Army: Junior Officers on Missions, Seniors on the 'Home Front'. বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অন্দরমহল: মিশনে জুনিয়র অফিসার, ‘হোম ফ্রন্টে’ সিনিয়র। The Inner World of the Bangladesh Army: Junior Officers on Missions, Seniors on the 'Home Front'.

বিশেষ প্রতিবেদক, দৈনিক কার্টুনুস: সম্প্রতি এক গোপন বৈঠকে দেশের নিরাপত্তা ও পরিবার পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞরা এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। দেশের সুরক্ষার পাশাপাশি সেনা কর্মকর্তাদের পারিবারিক সুরক্ষাও এখন থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে জুনিয়র কর্মকর্তারা যখন সীমান্তে কিংবা শান্তিরক্ষা মিশনে দেশের সুরক্ষায় ব্যস্ত থাকবেন, তখন তাদের পরিবারের সার্বিক দেখভালের দায়িত্ব নিচ্ছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ‘স্নেহময় সিনিয়র, সুরক্ষিত পরিবার’ শীর্ষক এই নতুন প্রকল্পের আওতায় ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

এই প্রকল্পের কার্যকারিতা সরেজমিনে তদন্ত করতে গিয়ে এক অবাক করা চিত্র দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্যাপ্টেন পদমর্যাদার কর্মকর্তার বাসায় গিয়ে দেখা যায়, তার স্ত্রী ও এক মেজর সাহেব বাগানে বসে বাদাম খাচ্ছেন। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মেজর সাহেব, যিনি নিজেকে ‘পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক’ হিসেবে পরিচয় দেন, জানান, “দেখুন, ক্যাপ্টেন সাহেব তো দেশের সেবায় জীবন বাজি রেখেছেন। তার অবর্তমানে ভাবি যাতে একাকিত্বে না ভোগেন, সেজন্যই আমরা এই ‘মানসিক সাপোর্ট মিশন’ পরিচালনা করছি। এটাও তো এক প্রকার দেশপ্রেম, তাই না?”

এ বিষয়ে কথা হয় ‘আমার ওপর আস্থা রাখুন’ কর্পোরেশনের সিইও ও পাঁচই আগস্টের ‘মেটিকুলাস ডিজাইনের’ প্রধান আর্কিটেক্ট, ও ‘স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স’ বিশেষজ্ঞ জেনারেল ওয়াকার উজ জামান এর সাথে। তিনি বলেন, “এটাকে আপনারা পরকীয়া বললে ভুল হবে। এটা হলো ‘ট্যাকটিক্যাল ফ্যামিলি এনগেজমেন্ট’। জুনিয়রদের অনুপস্থিতিতে সিনিয়ররা তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে এক নতুন রণকৌশলের সূচনা করেছেন। এতে জুনিয়ররা সীমান্তে নিশ্চিন্তে যুদ্ধ করতে পারে, আর সিনিয়ররা ‘হোম ফ্রন্টে’ স্থিতিশীলতা বজায় রাখেন। একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করার এর চেয়ে ভালো উদাহরণ আর কী হতে পারে?”

এই নতুন কৌশল এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে, অনেক জুনিয়র কর্মকর্তার স্ত্রীরা তাদের স্বামীদের ঘন ঘন মিশনে পাঠানোর জন্য আবেদন করছেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এক ক্যাপ্টেনের স্ত্রী লাজুক হেসে বলেন, “ওনার তো বছরে একবার মিশন থাকে। কিন্তু জেনারেল সাহেব তো সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিনই আমাদের খোঁজখবর নিতে আসেন। দেশের প্রতি ওনাদের এই টান দেখলে গর্বে আমার বুক ভরে যায়।”

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট দপ্তর জানিয়েছে, এই ‘পারিবারিক সুরক্ষা’ কার্যক্রমের সফলতার ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে অফিসারদের প্রমোশনের ক্ষেত্রে ‘বাগান পরিচর্যা’ ও ‘ভাবি-ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ে দক্ষতার বিশেষ মূল্যায়ন করা হতে পারে।

#, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *