বিশেষ প্রতিবেদক, দৈনিক কার্টুনুস: দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার আড়ালে থাকা গোপন রহস্য অবশেষে উন্মোচিত হয়েছে। বিশ্বখ্যাত শান্তিবাদী, অতিক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের জনক, ইমেরিটাস খুলি সংগ্রাহক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর ইউনূস সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে তার যুগান্তকারী ‘খুলি তত্ত্ব’ পেশ করেছেন। তার মতে, শান্তির উর্বর জমিন তৈরিতে উৎকৃষ্ট মানের সারের জোগান দেয় মানুষের মাথার খুলি।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আপনারা বাগান করার সময় যেমন আগাছা পরিষ্কার করেন, আমরাও তেমনই শান্তির বাগান করার জন্য কিছু আগাছা পরিষ্কার করেছি। নদীতে প্রতিদিন শত মানুষের লাশ আর জমিনে হাজার হাজার খুলি দেখে আঁতকে উঠবেন না। এগুলো আগাছা নয়, শান্তির বাগানের সার।” তিনি আরও যোগ করেন, “একটি বলিষ্ঠ জাতি গঠনে কিছু খুলি তো লাগবেই। সিমেন্ট ছাড়া যেমন দালান হয় না, খুলি ছাড়াও শান্তি প্রতিষ্ঠা অসম্ভব।”
এদিকে, ডক্টর ইউনূসের এই তত্ত্বকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। দেশের প্রখ্যাত রাজনৈতিক বিশ্লেষক , ‘কফির কাপে ঝড়তোলা’ বিশেষজ্ঞ জাহেদ উর রহমান বলেন, “আহা! কী অসাধারণ দর্শন! এতদিন আমরা শান্তির জন্য কবুতর উড়িয়েছি, মানবপ্রাচীর গড়েছি। কিন্তু আসল উপাদান যে ছিল হাতের কাছেই, তা তো বুঝিনি। স্যারের এই ‘খুলিইজম’ তত্ত্ব নোবেলের পর আরেকটি নোবেল পাওয়ার যোগ্যতা রাখে।”
তবে এই বিপুল পরিমাণ খুলি সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশাসনিক জটিলতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারের ‘খুলি ব্যবস্থাপনা ও সরবরাহ’ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, “হাজার হাজার খুলি আসায় আমরা হিমশিম খাচ্ছি। কোনটি বেশি চকচকে, কোনটি টেকসই – এসব বাছাই করতেই দিনরাত এক হয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি খুলির যথাযথ মর্যাদা রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর।”
এই মহৎ উদ্যোগে অংশ নিতে পেরে সাধারণ মানুষও তাদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি রাজধানীর ‘খুলি সংগ্রহ কেন্দ্রে’ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি জানান, “আমার দাদার খুলিটা এই মহৎ কাজে লাগাতে পেরে আমরা গর্বিত। তবে সরকারের কাছে আবেদন, আমার দাদার খুলিটা যেন সামনের সারিতে রাখা হয়। তিনি সবসময় সামনে থাকতে ভালোবাসতেন।”
সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার এই অভিনব মডেল অনুসরণ করতে চেয়ে বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ দেশ থেকে ডক্টর ইউনূসের কাছে হাজার হাজার ইমেইল আসছে। তিনি আপাতত সেসব দেশের খুলির বাজারের চাহিদা ও সরবরাহের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছেন বলে তার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।