অর্থনীতির তিন স্তম্ভে মহাবিপর্যয়: ব্যাংক থেকে শেয়ারবাজার, সর্বত্রই পতনের সুর

অর্থনীতির তিন স্তম্ভে মহাবিপর্যয়: ব্যাংক থেকে শেয়ারবাজার, সর্বত্রই পতনের সুর। Mega Disaster in Three Pillars of the Economy: A Tale of Collapse from Banks to Stock Market. অর্থনীতির তিন স্তম্ভে মহাবিপর্যয়: ব্যাংক থেকে শেয়ারবাজার, সর্বত্রই পতনের সুর। Mega Disaster in Three Pillars of the Economy: A Tale of Collapse from Banks to Stock Market.

বিশেষ প্রতিবেদক, দৈনিক কার্টুনুস: এই তো সেদিনও দেশের অর্থনীতি ছিল বাঘের মতো। তরতর করে জিডিপির গাছ বেয়ে উঠছিল আর উন্নয়নের গর্জনে বিশ্ব কাঁপছিল। কিন্তু হায়! কবে যে সেই বাঘ বিড়ালে পরিণত হলো, আর অর্থনীতির বটগাছ শুকিয়ে লজ্জাবতী লতা হয়ে গেল, তা কেউ টেরই পেল না। দেশের তাবড় তাবড় অর্থনীতিবিদ ও বাজার বিশেষজ্ঞরা একযোগে মাথা চুলকে এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে যা আবিষ্কার করেছেন, তাতে আক্কেল গুড়ুম হওয়ার জোগাড়। তাদের মতে, এই অর্থনৈতিক ধসের নেপথ্যে রয়েছে এক অশুভ ছায়া, যার নাম ‘অবৈধ অন্তর্বর্তী সরকার’ এবং এর প্রধান চালিকাশক্তি ‘নোবেলজয়ী ক্ষুদ্রঋণের যাদুকর ড. ইউনূস’।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ড. ইউনূস দেশে পদার্পণ করার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাংক খাত থেকে প্রায় ৯ লাখ কোটি টাকা বাতাসে মিলিয়ে গেছে। কীভাবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে এক ব্যাংক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এটা সাধারণ কোনো লোপাট নয়, এ হচ্ছে ‘ইউনূসীয় ম্যাজিক’। তিনি ক্ষুদ্রঋণের আইডিয়া দিয়ে যেমন গ্রামের মানুষকে পথে বসিয়েছেন, তেমনি তার অদৃশ্য ইঙ্গিতেই নাকি খেলাপি ঋণের টাকাগুলো ব্যাংক থেকে উধাও হয়ে সরাসরি পশ্চিমা মহাপ্রভুদের কোষাগারে জমা হয়েছে। সরকার এখন ‘ইচ্ছাকৃত খেলাপি’র সংজ্ঞা বাদ দিতে চাইছে, কারণ নতুন খেলাপির দল নাকি সবাই অন্তর্বর্তী সরকারের লোক!”

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিষয়ক মহাজ্ঞানী ও ভবিষ্যৎদ্রষ্টা আল্লামা বল্টু মিয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, “আপনারা বুঝলেন না, সব দোষ ওই নোবেলটার। ওই পুরস্কার পাওয়ার পর থেকেই ইউনূস সাহেব এক বিশেষ ‘নেতিবাচক অর্থনৈতিক তরঙ্গ’ ছুঁড়তে শুরু করেন। এতদিন দেশের ইস্পাতকঠিন অর্থনীতির দেয়ালে লেগে তা ফেরত যাচ্ছিল। কিন্তু যেই না তিনি ক্ষমতার কাছাকাছি এলেন, অমনি সেই তরঙ্গ পুরো আর্থিক ব্যবস্থাকে ঝাঁঝরা করে দিয়েছে।”

এদিকে, ডুবতে থাকা পাঁচটি ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করে ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’ নামক একটি নতুন ব্যাংক তৈরির পরিকল্পনাকেও সন্দেহের চোখে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, এটি আসলে ক্ষুদ্রঋণের আদলে একটি ‘বৃহৎঋণ’ প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সমস্ত টাকা এক ব্যাংকে এনে বিদেশে পাচার করা হবে।

শুধু ব্যাংক খাতই নয়, শেয়ারবাজারেও লেগেছে ইউনূসীয় ঝাপটা। যে বাজার কদিন আগেও ষাঁড়ের মতো তেজি ছিল, সেই বাজার এখন অন্তর্বর্তী সরকারের ভয়ে ভেড়ার পালের মতো কাঁপছে। বাজারে এখন ভালো কোম্পানির চেয়ে জাঙ্ক শেয়ারের সংখ্যা বেশি। ডিএসই’র সামনে এক বিনিয়োগকারী ভেজা চোখে বলেন, “আমার সব ভালো ভালো শেয়ার ইউনূস আসার পর ‘জাঙ্ক’ হয়ে গেছে। আগে যেখানে লাভ গুনতাম, এখন সেখানে ঋণের বোঝা গুনছি। শুনেছি, তিনি নাকি সব কোম্পানির মুনাফা চুষে নিয়ে গ্রামীণ ব্যাংকের মতো কোনো এক নতুন প্রতিষ্ঠানে ঢালছেন।”

আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থাও তথৈবচ। সেখানে খেলাপি ঋণের হার নাকি ৮৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে, কারণ ড. ইউনূসের সরকার আসার পর সব ঋণগ্রহীতা একযোগে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তারা বলছেন, “ক্ষুদ্রঋণ যদি ফেরত না দিলেও চলে, তাহলে আমাদের বড় ঋণ ফেরত দিতে হবে কেন?”

সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এটা স্পষ্ট যে, দেশের অর্থনীতির তিন স্তম্ভই একযোগে ভেঙে পড়ার পেছনে বিদেশি প্রেসক্রিপশন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের অদৃশ্য হাত কাজ করছে। অর্থনীতির এই করুণ দশা কবে কাটবে, তা কেবল ভবিষ্যতই বলতে পারবে। তবে আল্লামা বল্টু মিয়ার মতে, “অর্থনীতিকে বাঁচাতে হলে ইউনূসীয় তরঙ্গ নিষ্ক্রিয় করার জন্য তাবিজ ও পানিপড়া ছাড়া আর কোনো গতি নাই।”

#, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *