বিশেষ প্রতিবেদক, দৈনিক কার্টুনুস: অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ২৫ জন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে এই ২৫ জনের মধ্যে একজনের নিয়োগে দেশের আপামর জনতা আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছে। তিনি আর কেউ নন, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বিরোধী আন্দোলনের মহানায়ক, রাজপথের অগ্নিপুরুষ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের অতন্দ্র প্রহরী সারজিস আলমের সুযোগ্য শ্বশুর, অ্যাডভোকেট জনাব মো. লুৎফর রহমান।
এই নিয়োগের খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নিয়োগের মাধ্যমে দেশে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। এতদিন আমরা দেখতাম পিতার যোগ্যতায় সন্তান চাকরি পেত, কিন্তু এখন থেকে জামাতার যোগ্যতাতেও শ্বশুরদের ভাগ্য খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হলো। বিশিষ্ট বংশগতিবিদ্যা গবেষক ও স্বজনপ্রীতি বিশেষজ্ঞ ডক্টর সুশীল কুটুম্ব এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, “এটি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এতদিন আমরা ভাবতাম, রক্তই সব। কিন্তু এই নিয়োগ প্রমাণ করল, রক্তের সম্পর্কের চেয়েও বৈবাহিক সম্পর্ক কখনো কখনো বেশি শক্তিশালী। সারজিস সাহেব তার শ্বশুরের মধ্যে যে মেধা আবিষ্কার করেছেন, তা এতদিন জাতির চোখ এড়িয়ে ছিল। এই আবিষ্কারের জন্য তাকে ‘জামাতা রত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করা উচিত।”
উল্লেখ্য, এই সারজিস আলমই সেই মহান নেতা যিনি ২০২৪ সালের অগ্নিঝরা দিনগুলোতে রাজপথে দাঁড়িয়ে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলেছিলেন। তার ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে হাজার হাজার তরুণ ‘চাচা-মামার জোর নাই, চাকরি আমার হয় নাই’ স্লোগানে রাজপথ কাঁপিয়েছিল। আজ তার হাত ধরেই যখন তার নিকটাত্মীয় বিচারকের আসনে বসলেন, তখন সেই তরুণদের অনেকেই এটিকে ‘বিপ্লবের সুফল’ বলে আখ্যায়িত করছেন। তাদের মতে, বিপ্লব সফল হয়েছে বলেই আজ যোগ্য ব্যক্তিরা সঠিক জায়গায় সুযোগ পাচ্ছেন, হোক না তিনি নেতার শ্বশুর!
এদিকে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে স্বয়ং সারজিস আলম তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পাতায় একটি পাণ্ডিত্যপূর্ণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তার শ্বশুর ১৯৯১-৯২ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় প্রথম দিকে ছিলেন এবং আইন বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। এই তথ্যটি এতদিন রাষ্ট্রীয় গোপন দলিলের অংশ হিসেবে সংরক্ষিত ছিল। সারজিস সাহেব তার জামাতা হওয়ার পরই কেবল এই গোপন তথ্য জাতির সামনে উন্মোচন করার সুযোগ পেয়েছেন। তার এই তথ্য প্রকাশের পর জনগণ বুঝতে পারছে যে, জনাব লুৎফর রহমানের বিচারপতি হওয়ার একমাত্র কারণ তার মেধা, এখানে জামাতার কোনো ভূমিকা নেই। সারজিস আলমের সঙ্গে তার পারিবারিক সম্পর্ক একটি কাকতালীয় ঘটনা মাত্র, যা কেবল সংকীর্ণমনারাই খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।
একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, এখন থেকে সরকারি চাকরির আবেদনে ‘আপনার কোনো প্রভাবশালী জামাতা/শ্বশুর আছে কি?’ এই মর্মে একটি নতুন কলাম যোগ করার চিন্তাভাবনা চলছে। সারজিস আলমের শ্বশুরের এই নিয়োগকে সেই নতুন ধারার প্রথম মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। জাতি এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কবে দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ পদে এভাবেই ‘যোগ্য’ ব্যক্তিরা তাদের সুযোগ্য জামাতা বা শ্বশুরের হাত ধরে আসীন হবেন এবং দেশকে মেধাবীদের স্বর্ণযুগে পৌঁছে দেবেন।
#২০২৪ দাঙ্গা, #Cartunus Daily, #অন্তর্বর্তী সরকার, #আইন মন্ত্রণালয়, #এনসিপি নেতা, #কার্টুনুস ডেইলি, #জাতীয় নাগরিক পার্টি, #জামাই শ্বশুর রাজনীতি, #জুলাই ষড়যন্ত্র, #ড. ইউনূস, #ড. মুহাম্মদ ইউনূস, #দুর্নীতি, #দৈনিক কার্টুনুস, #নতুন বিচারপতি, #বিচারপতি নিয়োগ, #বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, #রাজনৈতিক রম্য, #লুৎফর রহমান, #সমন্বয়ক, #সংস্কার, #সারজিস আলম, #স্বজনপ্রীতি