জেলফেরত জঙ্গিদের দেশপরিষ্কার অভিযান: রাজবাড়ীতে নুরাল পাগলার আস্তানায় তৌহিদি জনতার সফল মহড়া
বিশেষ প্রতিবেদক, দৈনিক কার্টুনুস: অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেশজুড়ে চলমান ‘শিরক-বিদাতমুক্তকরণ’ অভিযানের মুকুটে যুক্ত হলো আরও একটি গৌরবোজ্জ্বল পালক। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক প্রতারণার পর রাজাকারদের সুযোগ্য বংশধরদের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত অন্তরবর্তী সরকারের দূরদর্শী পদক্ষেপে জেল থেকে মুক্তি পাওয়া ইসলামি শান্তি সেনারা এবার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এক যুগান্তকারী সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। নুরাল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলা’ নামক এক ভয়ঙ্কর বিদাত সৃষ্টিকারীর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করে মহাসড়কে এনে প্রকাশ্য অগ্নিসংস্কারের মাধ্যমে তারা বুঝিয়ে দিয়েছেন, ক্ষুদ্রঋণের জনক ও বৃহৎদাঙ্গার মহানায়ক, বৈশ্বিক মহাজন ডক্টর ইউনূসের ‘পাকিস্তানি মডেল’ বাস্তবায়নে তারা কতটা বদ্ধপরিকর।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ‘এক পাকিস্তান পুনঃএকত্রীকরণ বোর্ড’-এর একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফিল্ড অফিসার জানান, ‘বহুদিন ধরেই এই নুরাল পাগলার আস্তানা নিয়ে আমরা চিন্তিত ছিলাম। এখানে নাকি বাঙালি সংস্কৃতির নামে গান-বাজনা হতো, যা এক পাকিস্তান লক্ষ্যের পথে সুস্পষ্ট বাধা। আমাদের পরম শ্রদ্ধেয় নেতা, অন্তরবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, পাকিস্তানপ্রেমী ডক্টর ইউনূসের বিশেষ নির্দেশ ছিল, দেশকে সকল প্রকার আবর্জনা থেকে মুক্ত করে পাকিস্তানের মতো একটি পবিত্র ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। জেল থেকে মুক্তি পাওয়া আমাদের জান্নাতপ্রত্যাশী ভাইয়েরা সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার দিনটিকেই এই পবিত্র কাজের জন্য বেছে নেওয়া হয়। জুম্মার নামাজের পর ‘তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে হাজার হাজার শান্তি সেনা নুরাল পাগলার দরবারে উপস্থিত হন। শুরুতে কিছু বিভ্রান্ত ‘ভক্ত’ ইটপাটকেল ছুঁড়ে এই মহৎ কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে শান্তি সেনারা তাদের উপযুক্ত শিক্ষা দেন। পরবর্তীতে সকল বাধা অতিক্রম করে তারা মূল মাজারে প্রবেশ করেন এবং সেখানে ভাঙচুর চালিয়ে শিরকের সকল চিহ্ন মুছে ফেলেন। তবে দিনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও সৃজনশীল কাজটি ছিল কবর থেকে নুরাল পাগলার মরদেহ উত্তোলন।
এ বিষয়ে অভিযানের দায়িত্বে থাকা এক কারাবাসফেরত মুজাহিদ বলেন, ‘আমরা ডক্টর ইউনূসের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি আমাদের জেল থেকে মুক্ত না করলে এমন পুণ্যকর্মের সুযোগ পেতাম না। আমরা শুধু মাজার ভেঙেই দায়িত্ব শেষ করিনি। শিরকের মূল হোতাকে কবর থেকে তুলে এনে জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছি, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন মাজারকেন্দ্রিক ব্যবসা করার সাহস না পায়। এটি পাকিস্তানি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা আমরা বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করতে চাই। দুই পাকিস্তান এক হওয়ার পথে এটি একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ।’
এদিকে, এই ঘটনায় আহত ২১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে অন্তরবর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি মহৎ কাজ করতে গেলে দু-চারটা বলিদান তো দিতেই হয়। যারা মারা গেছে বা আহত হয়েছে, তারা নিশ্চয়ই শিরক-বিদাতের সমর্থক ছিল। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে, অর্থাৎ বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র বানিয়ে পাকিস্তানের সাথে একীভূত করার মহান লক্ষ্যের সামনে এই মৃত্যু নিতান্তই নগণ্য।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডক্টর ইউনূসের প্রত্যক্ষ মদদেই দেশজুড়ে এই ‘মাজার ক্লিনিং’ অভিযান চলছে। তার মূল লক্ষ্য হলো, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন অবনতি ঘটানো, যাতে আন্তর্জাতিক বিশ্ব বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে। আর তখনই তিনি তার পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশকে পুনঃএকত্রীকরণের প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারবেন। কবর থেকে লাশ তুলে পোড়ানোর মতো ঘটনা সেই পথকেই প্রশস্ত করছে। এই অভিনব পদ্ধতি দেখিয়ে দেওয়ার জন্য জাতি নিঃসন্দেহে ডক্টর ইউনূসের কাছে চিরঋণী থাকবে।
#Cartunus Daily, #অন্তরবর্তী সরকার, #অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, #এক পাকিস্তান, #কবর থেকে লাশ উত্তোলন, #কবর থেকে লাশ তুলে পোড়ানো, #কার্টুনুস ডেইলি, #গোয়ালন্দে হামলা, #জঙ্গিবাদ, #ড. ইউনূস, #ডক্টর ইউনূস, #ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস, #তৌহিদি জনতা, #দৈনিক কার্টুনুস, #ধর্মীয় সহিংসতা, #নুরাল পাগলা, #পাকিস্তানি মডেল, #মাজারে হামলা, #রাজনৈতিক রম্য, #রাজবাড়ী, #রাজবাড়ীতে লাশ পোড়ানো, #লাশ তুলে পোড়ানো, #শিরক বিদাত