শাপলা কলি প্রতীক পেল এনসিপি: কার্টুনুস ডেইলির চিত্রকর্ম উপহার

এনসিপিকে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক বরাদ্দ কার্টুনুস ডেইলির বিশেষ চিত্রকর্ম উপহার। NCP Granted 'Shapla Koli' Symbol Receives Special Artwork Gift from Cartunus Daily এনসিপিকে ‘শাপলা কলি’ প্রতীক বরাদ্দ কার্টুনুস ডেইলির বিশেষ চিত্রকর্ম উপহার। NCP Granted 'Shapla Koli' Symbol Receives Special Artwork Gift from Cartunus Daily

বাটপ্লাগ সাদৃশ্য শাপলা কলি প্রতীক পেয়ে উল্লাসিত এনসিপি; ১০ লাখ টাকার সাশ্রয় করে দিল কার্টুনুস ডেইলি

বিশেষ প্রতিবেদক, দৈনিক কার্টুনুস: আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন নামক প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ জল্পনা-কল্পনা, ঘষামাজা এবং অগণিত গবেষণার পর রাজাকারদের নাতিপুতিদের দ্বারা পরিচালিত পাকিস্তানপন্থি নব্য কিংস পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপিকে তাদের বহুকাঙ্ক্ষিত নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে। নজিরবিহীন এই প্রতীকের নাম ‘শাপলা কলি’। আর এই প্রতীক বরাদ্দের ঘোষণার সাথে সাথেই শুধু ঢাকা বা মিরপুর নয়, বরং পুরো দেশজুড়ে এক অভূতপূর্ব হাসির রোল পড়ে গেছে। হাসতে হাসতে অনেকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হচ্ছেন বলেও আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।

ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়, যখন ইসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এনসিপি ‘শাপলা কলি’ পাচ্ছে। প্রথম দর্শনে অনেকেই প্রতীকটি ঠিক চিনতে পারছিলেন না। কিন্তু জুম করে, হাই-রেজোলিউশন মনিটরে দেখার পর থেকেই বিপত্তি শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গৃহস্থালি পণ্য, বিশেষ খেলনা সামগ্রী এবং অ্যাডাল্ট শপের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এই প্রতীকটি তাদের অতি পরিচিত একটি পণ্যের সাথে হুবহু মিলে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুলশানের এক অভিজাত ‘টয়’ শপের ম্যানেজার আমাদের জানিয়েছেন, “ভাই, এইডা তো শাপলা কলি না। এইডার একখান বিশেষ নাম আছে। আমরা এইটারে ভালোবেসে ‘আনন্দ প্লাগ’ বলি। নির্বাচন কমিশন যে এই জিনিসরে প্রতীক বানাইবো, এইটা আমরা স্বপ্নেও ভাবি নাই। এনসিপির কর্মীরা চাইলে আমরা পাইকারি রেটে সাপ্লাই দিতে রাজি আছি।”

ফেসবুক, টুইটারসহ সকল সামাজিক মাধ্যমে এই ‘শাপলা কলি’ নিয়ে যে পরিমাণ হাস্যরস তৈরি হয়েছে, তা বিগত এক দশকে আর কোনো রাজনৈতিক দল পায়নি। ‘রাজনৈতিক প্রতীক ও তার ব্যবহারিক প্রয়োগ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় দেশের প্রখ্যাত প্রতীক বিশেষজ্ঞ জুলি বেগম মন্তব্য করেছেন, “প্রতীকটি খুবই সময়োপযোগী। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের যে ধরনের বিনোদনের অভাব, তা এই প্রতীকটি পূরণ করতে সক্ষম। এটি দেখতে শাপলা কলির মতো কম, আর বিশেষ ধরনের বাটপ্লাগের মতো বেশি। এনসিপির নেতারা এই প্রতীক ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে দেশকে আনন্দিত রাখবেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়।”

এই প্রতীককাণ্ডে যোগ দিয়েছেন দেশের প্রখ্যাত ফেসবুক-কাঁপানো কলামিস্ট ও সাবেক পার্লিয়ামেন্টারিয়ান জনাব গোলাম মাওলা রনি। তিনি তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ইসির এই শৈল্পিক রুচির তীব্র সমালোচনা করে এক সরস স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি আফসোস করে লেখেন, “শাপলা যদি দিতেই চান, তবে একটু ফুটাইয়া দিলে ক্ষতি কী! এই কলি দিয়া আপনারা কী বোঝাতে চান? বাচ্চারা, আপাতত এই কুঁড়ি নিয়া খেলো, বড় হইলে আসল শাপলা পাবা?” বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ‘বড় শাপলা’ বলতে তিনি কী বুঝিয়েছেন তা আরও গবেষণার বিষয়। তবে ‘খেলাধুলা’র এই পরামর্শে এনসিপির তরুণ কর্মীরা নতুন করে উৎসাহিত বোধ করছেন এবং “গোপনে খেলো” নামক অনলাইন শপে নানা রকম ‘খেলনা’র অর্ডার দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এই প্রতীক পেয়ে যারপরনাই আনন্দিত। তিনি এক বিবৃতিতে এই প্রতীককে ‘গণতন্ত্রের কলি’ বলে অভিহিত করেছেন। যদিও সাধারণ জনতা কমেন্টে তাকে এই ‘কলি’ সাবধানে ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পথচারী আমাদের বলেন, “নাহিদরে গিয়া বলেন, এই কলি ফোটার জিনিস না, এইটা ব্যবহারের জিনিস। সাবধানে ব্যবহার না করলে বিপদ হইতে পারে।”

দশ লাখি পেইন্টিং প্রকল্প ও কার্টুনুস ডেইলির মহানুভবতা

এমন খুশির খবরের পর এনসিপি সিদ্ধান্ত নেয়, তারা তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এই ‘শাপলা কলি’র ছবিতে ছবিতে ভরিয়ে ফেলবে। এই মহান দায়িত্ব পালনের জন্য চারুকলার কতিপয় জুনিয়র শিল্পীকে দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে নিয়োগ পান সামান্তা শারমিন। এই প্রকল্পের প্রাথমিক বাজেট ধরা হয় দশ লাখ টাকা।

চারুকলার এক জুনিয়র শিল্পী নাম না প্রকাশের শর্তে আমাদের জানিয়েছেন, “আমাদেরকে সামান্তা আপু দশ লাখ টাকার বিনিময়ে ‘শাপলা কলি’ আঁকতে বলেছেন। কিন্তু আমরা বুঝতে পারছি না ঠিক কী আঁকব। আমরা যেটা আঁকলে এনসিপির নেতারা খুশি হবেন, সেটা তো ঠিক ক্যানভাসে আঁকার জিনিস না। আবার আসল শাপলা কলি আঁকলে তারা যদি মাইন্ড করেন! আমরা খুবই দ্বিধায় আছি।”

এই খবর পৌঁছায় কার্টুনুস ডেইলি দপ্তরে। আমরা জানি, এনসিপি এবং বিশেষত নাহিদ ইসলাম আমাদের তীব্র ঘৃণা করেন। তারা আমাদের দেখলেই দাঁত কিড়মিড় করেন। কিন্তু আমরা তো জনগণের টাকা অপচয় হতে দিতে পারি না। দশ লাখ টাকা কোনো ফেলনা টাকা নয়। তাই আমাদের মহান সম্পাদক সিদ্ধান্ত নিলেন, এনসিপিকে একটি নিখুঁত ‘শাপলা কলি’ পেইন্টিং উপহার দেওয়া হবে। এতে জাতির দশ লাখ টাকা সাশ্রয় হবে।

যেই ভাবা সেই কাজ। আমাদের নিজস্ব আর্টিস্ট, পিকাসোর নাতিকে দায়িত্ব দেওয়া হলো। তিনি দিনরাত এক করে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুললেন এক অনবদ্য ‘শাপলা কলি’ (প্রতিবেদনের সাথে ছবিটি সংযুক্ত)। এই পেইন্টিংটি গতকাল এনসিপি কার্যালয়ে পাঠানো হলে তা গ্রহণ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন দলটির নেতারা।

আনন্দ মিছিল ও শিল্প সমালোচকের চোখে সেই পেইন্টিং

কার্টুনুস ডেইলির এই উপহার পেয়ে এনসিপির দেশজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় হাজার খানেক (অনুমানিক) সমর্থক একযোগে আনন্দ মিছিলে ফেটে পড়ে। মিরপুর এক নম্বর থেকে শুরু হওয়া সেই মিছিলে স্লোগান ছিল, “গ্ৰাম, শহর, অলিগলি ভরবো মোরা শাপলা কলি”, “বলছে বলুক বাটপ্লাগ, শাপলা কলি মার্কার বাপ”, “সবাই মিলে ব্যবহার করি, জিতবে এবার শাপলা কলি।” ইত্যাদি।

মিছিল শেষে এনসিপির এক নেতা বলেন, “আমরা জানতাম কার্টুনুস ডেইলি একদিন আমাদের বুঝবে। তারা আমাদের প্রতীককে যে শৈল্পিক রূপ দিয়েছে, তাতে আমরা মুগ্ধ। এই পেইন্টিং আমরা দশ কোটি টাকা দিলেও পেতাম না।”

কিন্তু কী আছে সেই পেইন্টিং-এ? আমরা যোগাযোগ করি দেশের প্রখ্যাত শিল্প সমালোচক, বার্লিন আর্ট ফেস্টিভ্যালের আজীবন ফেলো অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন বশীরের সাথে। তিনি ছবিটি দেখে উত্তেজনায় কাঁপতে কাঁপতে বলেন: “ওহ! মাই গড! কী এঁকেছে! এ তো শুধু একটি পেইন্টিং নয়, এ একটি মহাকাব্য। দেখুন, ভালো করে দেখুন। শিল্পী এখানে দেখিয়েছেন এক গভীর জলাশয়, যা আসলে এই ঘোলাটে রাজনীতির প্রতীক। সেই জলাশয়ের নিচে আবছাভাবে দেখা যাচ্ছে একটি উলঙ্গ মানবদেহ, যা হচ্ছে এই প্রতারিত জাতির নগ্ন প্রতিচ্ছবি। দেহটি ডুবন্ত, তার মানে জনগণ ডুবে যাচ্ছে।”

অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন বশীর আরও গভীর বিশ্লেষণে ঢুকে বলেন, “কিন্তু আসল ম্যাজিকটা দেখুন। সেই নিমজ্জিত উলঙ্গ মানবদেহটির পাছা ভেদ করে, অর্থাৎ তার পশ্চাৎদেশ থেকে উদগীরণ হচ্ছে একটি শাপলা কলি! ওয়াও! ব্রিলিয়ান্ট! শিল্পী বোঝাতে চেয়েছেন, এই জাতির উত্থান আর সামনে দিয়ে হবে না। যা হওয়ার পেছন দিয়েই হবে। এনসিপি সেই পশ্চাৎদেশীয় উত্থানের প্রতীক। এই ‘শাপলা কলি’ বা ‘বাটপ্লাগ’ যাই বলুন, এটিই হলো সেই উত্থানের সিগন্যাল। জলের ওপরের নির্মল পদ্মপাতাগুলো হলো সংস্কার কমিশন বা অন্তর্বর্তী সরকারের মতো দালালদের দল, যারা এই উলঙ্গ বাস্তবতা দেখতে পায় না। তারা শুধু কলিটাই দেখে, কিন্তু কলিটা কোথা থেকে বেরোচ্ছে, সেই খবর রাখে না। আমি বলবো, এই পেইন্টিং-এর জন্য আর্টিস্টকে নোবেল দেওয়া উচিত। এনসিপি আসলেই একটি দূরদর্শী প্রতীক পেয়েছে।”

অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন বশীরের এই বিশ্লেষণ শোনার পর এনসিপির কর্মীরা দ্বিতীয় দফায় আনন্দ মিছিল শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

#, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *