সেনাবাহিনী বনাম হাসনাত আব্দুল্লাহ: গণতন্ত্র নাকি গৃহযুদ্ধ

কিছুদিন আগেও যিনি বিরোধী পক্ষ দমন করতে “রাজুতে আয়” বলে গণপিটুনি সংস্কৃতির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন, আজ তিনি গণতন্ত্রের নতুন ঠিকাদার! জনগণের মাঝে সেনাবাহিনীকে ভিলেন বানানোর পবিত্র দায়িত্ব যেন তিনিই কাঁধে তুলে নিয়েছেন। হ্যাঁ, সেই হাসানাত আব্দুল্লাহ!

যিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নতুন সংজ্ঞা লিখতে চান, যেখানে ১৯৭১-এর প্রকৃত বীরেরা “ষড়যন্ত্রকারী” আর পাকিস্তানের এজেন্ডাধারীরা “দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রের রক্ষক”! আজ তিনি হয়তো বীরদর্পে ঘোষণা দিতে কার্পণ্য করবেনা — “তোরা ক্যান্টনমেন্টে আয়!” কারন ‘রাজুতে আয় বলে মব ভায়োলেন্স’-এর জাঁদরেল এই ক্যাম্পেইনার জেনেবুঝেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার মহান ব্রত কাঁধে তুলে নিয়েছেন!

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উচিত মুদ্রার দুইটি পিঠই খতিয়ে দেখা। গতকালও যারা বিরোধীদের ঘাড় মটকানোর ডাক দিত, আজ কেন তারা আপনাদের ঘাড় মটকে দেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে, যেখানে আপনাদেরই ঘাড়ে চেপে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিল হাসনাত আব্দুল্লাহ’রা।

সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করা, তাদের দেশপ্রেমকে কলঙ্কিত করা, আর রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তাকে নড়বড়ে করার এই ‘ডেমোক্রেসি-প্রজেক্ট’ আসলে কোন এজেন্ডার অংশ? গৃহযুদ্ধ? ৭ মাস আগেও যে দেশটা শান্তির দেশ ছিল সেই দেশটাকে কেন এরা গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে? আর সেটা কেন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করে? 

সত্যিকারের দেশপ্রেমিকরা ঠিকই জানেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ‘সানডে-মানডে ক্লোজ’ করা ছেলেখেলা নয়। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ‘অর্ডার’ এলেই এই শুয়োররা দেশপ্রেমিকদের টার্গেট বানায়, পাকিস্তানের পরাজয়ের মূল হাতিয়ারগুলোর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে।

সেনাবাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা নিজেদেরই প্রশ্ন করুন, হাসানাত আব্দুল্লাহ’রা আসলে কোন পক্ষের লোক?
১. বাংলাদেশের?
২. নাকি তাদের, যারা ১৯৭১-এ হার মেনেছিল?

উত্তরটা খুঁজতে বেশি দূরে যেতে হবে না। গত ৭ মাসের কার্যকলাপ দেখলেই উত্তর পেয়ে যাবেন!

লিখেছেনঃ এস এইচ চৌধুরী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *