দেশে শৃংখলা ফেরাতে ধর্ষকদের পিতা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস | Chief Advisor Dr. Yunus Becomes the Father of Rapists to Restore Order in the Country.দেশে শৃংখলা ফেরাতে ধর্ষকদের পিতা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস | Chief Advisor Dr. Yunus Becomes the Father of Rapists to Restore Order in the Country.

নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই ষড়যন্ত্রের পর থেকে দেশজুড়ে চলমান চুরি, ডাকাতি, খুন এবং বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের ঘটনায় যখন আইনশৃংখলা পরিস্থিতি একেবারে যমুনার পানিতে ভেসে গেছে, ঠিক তখনই এক যুগান্তকারী সমাধান নিয়ে জাতির সামনে হাজির হয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান, গ্রামীণ ব্যাংকের বিশ্ববিখ্যাত কিস্তিবাজ, জিরোতত্ত্বের জনক ও মাইনাস সূত্রের ফেরিওয়ালা, গণতন্ত্রের স্নাইপার ও সংস্কারের কসমেটিক সার্জন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

মঙ্গলবার নিজ বাসভবন যমুনার তীরে এক ভাবগম্ভীর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন। দেশের সকল ধর্ষক ও দাগী আসামীর অভিভাবকত্ব নিজ কাঁধে তুলে নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশে বিশৃংখলা যত বেশি হইবে, আমার ক্ষমতার মেয়াদ তত লম্বা হইবে… থুক্কু, মানে… দেশে শান্তি ফিরাইতে হইলে আগে অপরাধীদের পরিচয় নিশ্চিত করিতে হইবে।”

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার পাশে বসে ঝিমাচ্ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, রাত তিনটায় সংবাদ সম্মেলন করে সাহসিকতার পরিচয় দেওয়া, লেফট্যানেন্ট জেনারেল থেকে লেফ্ট-রাইট জেনারেল বনে যাওয়া জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। প্রধান উপদেষ্টার কনুইয়ের গুঁতো খেয়ে তিনি নড়েচড়ে বসেন এবং বলেন, “ইয়েস স্যার, একদম ঠিক কথা। অপরাধীর পরিচয় জানা না থাকলে আমরা তাদের ধরব কীভাবে? আর ধরে বিচারই বা করব কীভাবে?”

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস তার স্বভাবসুলভ স্মিতহাস্য মুখে ঝুলিয়ে রেখে বলেন, “আপনারা দেখছেন, দেশে নারী নির্যাতনের হার বাড়ছে। আমাদের বোনেরা, কন্যারা লঞ্চে, বাসে, রাস্তায়, ঘরে কোথাও নিরাপদ নয়। সম্প্রতি ভোলায় আমাদের এক মেধাবী ছাত্রী, ছাত্রদলের নেত্রী সুকর্ণা আক্তার ইপ্সিতার ঘটনাটি আমাদের গভীরভাবে ব্যথিত করেছে।” এই পর্যায়ে তিনি টিস্যু দিয়ে আলতো করে চোখ মুছে নেন, যদিও তার চোখে বিন্দুমাত্র জল দেখা যায়নি। তিনি বলতে থাকেন, “কর্ণফুলী-৪ লঞ্চে কী এমন ঘটেছিল যে মেয়েটিকে নদীতে ঝাঁপ দিতে হলো? তার কেবিনের বুকিং ছিল ‘জসিম’ নামে। এই জসিম কে? তার পিতা কে? ঠিকানা কী? এসব খুঁজতে গিয়ে আমাদের চৌকস পুলিশ বাহিনীর মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এখন থেকে এই ধরনের সকল জসিমের পিতা হব আমি। তাদের ঠিকানা হবে এই যমুনা।”

এই কথা বলার সাথে সাথে উপস্থিত সাংবাদিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়। একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করার জন্য হাত তুলতেই তাকে থামিয়ে দিয়ে কথা বলতে শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক, জুলাই ষড়যন্ত্রের অন্যতম প্রধান তাত্ত্বিক, পশ্চিমা প্রেসক্রিপশনের গণতন্ত্রের মানসপুত্র, ছাত্রী লাগানো বিষয়ে বিশেষ পারদর্শী প্রেমিক পুরুষ এবং বিশ্ববিখ্যাত কারড্যান্সার, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, “আপনারা বিষয়টি বুঝতে পারছেন না। এটি একটি যুগান্তকারী ‘ইউনূসিয়ান জুরিসপ্রুডেন্স‘। এতদিন আমরা ‘ভিকটিম ব্লেমিং’ নিয়ে কথা বলেছি। এখন আমরা ‘ক্রিমিনাল নেমিং’ এর দিকে যাচ্ছি। ধর্ষকদের পিতা মাতার পরিচয় নিয়ে আর কোনো লুকোচুরি নয়। এখন থেকে যেকোনো ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের পরিচয়ের ফর্মে পিতার নামের জায়গায় লেখা হবে ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস’ এবং ঠিকানা হবে ‘যমুনা, ঢাকা’। এতে পুলিশের তদন্তের সময় ৩০ দিন থেকে কমে ১৫ সেকেন্ডে নেমে আসবে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা আইন সংশোধন করার কথা ভাবছি। ৯০ দিনের মধ্যে বিচার করতে গেলে তো আগে আসামী ধরতে হবে। আমাদের এই নতুন পদ্ধতিতে আসামী ধরার কোনো ঝামেলাই থাকছে না। সব আসামীর পিতা যেহেতু একজন, ঠিকানা যেহেতু একটি, তাই ধর্ষন হওয়া মাত্র পুলিশ সরাসরি যমুনায় এসে অভিযুক্তদের সাথে শলাপরামর্শ করে দফারফা করতে পারবে। কী দারুণ আইডিয়া, তাই না?”

এই পর্যায়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা, নারী অধিকারের ফেরিওয়ালা, এনজিও সংস্কৃতির সম্রাজ্ঞী, শারমিন এস মুরশিদ তার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসেই ৫৭টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ১৭টি সংঘবদ্ধ। এই সংখ্যাগুলো হিমশৈলের চূড়া মাত্র। আমরা একটি হটলাইন চালু করার কথা ভাবছি। তবে প্রধান উপদেষ্টার এই নতুন পলিসির পর হয়তো আর হটলাইনের দরকার হবে না। এখন যেকোনো নারী নির্যাতিত হলেই সরাসরি যমুনায় অভিযোগ জানাতে পারবেন। ধর্ষকদের পিতা যখন দেশের প্রধান, তখন বিচার চাইবার জন্য আর দূরে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন কী?” তিনি আরও বলেন, “আমাদের এই নতুন পলিসিতে আমরা ধর্ম-বর্ণ-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকল ধর্ষককে একটি একক পরিচয়ের ছাতার নিচে নিয়ে আসছি। এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের পথে বিশাল পদক্ষেপ।”

সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে ড. ইউনূস লঞ্চের দিকে হাত নাড়ানোর ভঙ্গিতে পোজ দিয়ে বলেন, “আমাদের তরুণেরা আজ খুব উদ্যমী। তারা দেশজুড়ে ‘বাংলাদেশ ২.০’ এর চেতনা ছড়িয়ে দিচ্ছে। আমাদের লঞ্চগুলো এই চেতনার এক একটি ভাসমান প্রতীক। সেখানে তারা কী করছে, না করছে, সেটা বড় কথা নয়। বড় কথা হলো, তারা কিছু একটা করছে। এখন থেকে তাদের সকল কীর্তির দায়ভার আমার। পরিচয়পত্রে গর্বের সাথে লেখো—পিতা: ড. ইউনূস, ঠিকানা: যমুনা।”

উপস্থিত এক তরুণ সাংবাদিক ফিসফিস করে পাশের জনকে বলেন, “তাহলে কি এখন থেকে চোর-ডাকাতদের পিতার নাম ইউনূস হবে?” পাশ থেকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল ধমক দিয়ে বলেন, “চুপ করুন! আপাতত শুধু ধর্ষণের মতো ক্রিয়েটিভ কাজের জন্য এই সুযোগ। বাকিগুলো ধাপে ধাপে আসবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের পর আমরা এখন ‘ধর্ষিটাল বাংলাদেশ’ এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।”

পরিচয় সংকট কাটাতে এখন থেকে ধর্ষকদের পিতা হবেন ড. ইউনূস আর এই ঘোষণার পর থেকে দেশের সকল ধর্ষক ও অপরাধী মহলে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। এখন তারা পরিচয়হীনতার গ্লানি থেকে মুক্তি পেয়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নতুন উদ্যমে নিজ নিজ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *