নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিমের তালিকায় শীর্ষ ৫০-এ স্থান পাওয়ায়, ক্ষুদ্রঋণের নামে সহস্র কোটি টাকা লোপাটকারী, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অশান্তির ফেরিওয়ালা, আমেরিকার বিশ্বস্ত ক্রীতদাস ও জুলাই ষড়যন্ত্রের মহানায়ক, রুশ অর্থোডক্স খ্রিষ্টান তরুণীর পাণিপ্রার্থী ও পরবর্তীতে ডিভোর্সদাতা ড. মুহম্মদ ইউনূসকে অবিলম্বে ক্ষেপণাস্ত্রে রূপান্তরিত করে ইরানের পক্ষ থেকে ইসরায়েলে নিক্ষেপ করার জন্য জোর দাবি জানিয়েছে ‘বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ক্রন্দনরত মজলিসে শরাফত’ নামক একটি আধ্যাত্মিক সংগঠন।
আজ বাদ আছর জাতীয় বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে টায়ার পুড়ানো কর্মসূচির পর আয়োজিত এক বিশেষ প্রেস ব্রিফিংয়ে এই যুগান্তকারী দাবি উত্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আমীর, পিরানে পীর, হযরত আল্লামা রকেট সিদ্দিকী (দাঃ বাঃ) (রকেট বাবা)।
সভায় আল্লামা রকেট সিদ্দিকী হুহু করে কেঁদে ফেলে বলেন, “আজ মুসলিম উম্মাহ এক ভয়ংকর ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। একদিকে ফিলিস্তিনে মাসুম বাচ্চাদের রক্তের বন্যা বইছে, অন্যদিকে জর্ডানের এক ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠান আমাদের ইউনূস ষাঁড়কে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিম বানিয়ে দিয়েছে। আপনারা বলেন, এই প্রভাব দিয়ে আমরা কী করব? এই প্রভাব কি রুটি দিয়ে চুবিয়ে খাব? নাকি এই প্রভাব দিয়ে ইসরায়েলি ট্যাংকের উপর হামলা করব?”
উপস্থিত জনতা সমস্বরে ‘না, না’ বলে উঠলে রকেট বাবা রকেটের গতিতে বক্তব্য দিয়ে বলেন, “আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম, ইউনূস সাহেবকে প্রভাবশালী মুসলিমের খেতাব দেওয়ায় তিনি হয়তো নিজের প্রভাব খাটিয়ে টেরামকে একটা ফোন দেবেন। বলবেন, ‘হ্যালো ডুনাল, হোয়াটস আপ ম্যান? তোমার পোষা কুত্তা ইসরায়েলকে সামলাও।’ কিন্তু হায়! দশ মাস পেরিয়ে গেলেও তিনি টুঁ শব্দটি করেননি। তার মানে এই প্রভাব কোন সাধারন প্রভাব নয়, এ এক বিশেষ পারমাণবিক প্রভাব, যা খালি চোখে দেখা যায় না!”
এই পর্যায়ে তিনি একটি বড় স্ক্রিনে একটি কার্টুন প্রদর্শন করেন, যেখানে দেখা যায় ডক্টর ইউনূসের মাথাওয়ালা একটি মিসাইল ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবিটি দেখিয়ে তিনি বলেন, “এই দেখুন! কার্টুনুস ডেইলি নামক এক আধ্যাত্মিক মিডিয়া আগেই কাশফের মাধ্যমে জানতে পেরেছে ড. ইউনূস সাহেবের আসল পরিচয়। তিনি মূলত একটি মানব-মিসাইল। আমেরিকানরা তাকে মুসলিম দেশগুলোতে বিভেদ সৃষ্টির জন্য ‘স্লিপার সেল’ হিসেবে রোপণ করেছিল। কিন্তু আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর! সেই মিসাইল এখন আমরা মুসলিম উম্মাহর পক্ষে ব্যবহার করব।”
কীভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব করা হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রকেট বাবা বলেন, “আপনারা ক্ষুদ্রঋণের কিস্তি আদায়ে তার প্রতিষ্ঠানের মাঠকর্মীদের দেখেছেন? কি ভয়ংকর তাদের প্রক্রিয়া! আমরা সেই একই প্রক্রিয়া ব্যবহার করব। আমাদের বিশেষ ‘উম্মাহ-কর্মী’ বাহিনী যমুনায় গিয়ে প্রভাবশালী মুসলিম ড. ইউনূসকে তুলে আনবে। তারপর তাকে একটি ‘ইরানি শাহাব-৩’ মিসাইলের মাথায় ভালো করে সুপার গ্লু দিয়ে লাগিয়ে দেওয়া হবে। মিসাইলটির নাম হবে ‘মিজাইল আল-ইউনূস’।”
তিনি আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে বলেন, “এই মিসাইলের কোনো বিস্ফোরক ওয়ারহেড থাকবে না। ইউনূস সাহেব নিজেই হবেন এর ওয়ারহেড। এটি যখন ইসরায়েলের তেল আবিবে গিয়ে আঘাত হানবে, তখন কোনো বিস্ফোরণ হবে না। শুধু একটি বিকট শব্দে তিনি বলে উঠবেন, ‘আমি তোমাদের ক্ষুদ্রঋণ দিতে এসেছি!’ আর যায় কোথায়! তার প্রভাবে সমস্ত ইসরায়েলি সৈন্য অস্ত্র ফেলে দিয়ে ঋণের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে পড়বে। মাত্র ৩ মাসের কিস্তিতে তাদের অর্থনীতি এমনভাবে ভেঙে পড়বে যে তারা আর কোনোদিন যুদ্ধ করার সাহস পাবে না!”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ‘বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ক্রন্দনরত মজলিসে শরাফত’-এর মহিলা শাখার আমীরা, মনিকা ইউনূসের গানের বিশেষ ভক্ত, বেগম সাকেরা বানু। তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমার মনিকা মা কত সুন্দর অপেরা গায়! আমরা প্রস্তাব দিচ্ছি, ‘মিজাইল আল-ইউনূস’ উৎক্ষেপণের সময় লাউডস্পিকারে মনিকা মার গান বাজানো হবে। সেই গানের তরঙ্গ এতটাই শক্তিশালী হবে যে কোনো এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এই মিসাইলকে শনাক্ত করতে পারবে না। গানের তীক্ষ্ণ সুরে সব রাডার অজেকো হয়ে যাবে।”
সভার এই পর্যায়ে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “ড. ইউনূস তো জীবনে জুম্মার নামাজও ঠিকমতো পড়েছেন কিনা সন্দেহ, তিনি কীভাবে প্রভাবশালী মুসলিম হলেন আর কীভাবে মুসলমানদের প্রতিনিধিত্ব করবেন?”
জবাবে রকেট বাবা মেজাজ গরম করে বলেন, “আরে ধুর মিয়া! এই জন্যই তো তিনি সবচেয়ে প্রভাবশালী! যে লোক ধর্মকর্ম না করেই মুসলিমদের নেতা হয়ে যেতে পারে, তার প্রভাবের লেভেলটা চিন্তা করেন! তার প্রথম স্ত্রী ছিলেন একজন অর্থোডক্স খ্রিস্টান। তিনি তাকে বিয়ে করে ডিভোর্স দিয়েছেন। এটা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এটা ছিল পশ্চিমা সমাজে প্রবেশ করে তাদের দুর্বলতা জানার এক সুগভীর ইনfiltration মিশন। এই মিশনের জ্ঞানই তাকে মিসাইল হিসেবে কার্যকরী করে তুলবে।”
সভা শেষে এই মর্মে একটি প্রস্তাবনা পাশ করা হয় যে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে ডক্টর ইউনূস স্বেচ্ছায় নিজেকে মিসাইলে রূপান্তরিত করার জন্য ইরানের দূতাবাসে যোগাযোগ না করলে, ‘বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ক্রন্দনরত মজলিসে শরাফত’-এর কর্মীরা তাকে তার যমুনা বাসভবন থেকে তুলে নিয়ে সরাসরি তেহরানের ইমাম খোমেনি এয়ারপোর্টে হস্তান্তর করবে।
সবশেষে আল্লামা রকেট সিদ্দিকী এই বলে স্লোগান দিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন: “প্রভাব এখন উম্মাহর, অস্ত্র হবে সবার!” “ইউনূস ভাইয়ের মিসাইল, কাঁপিয়ে দেবে ইসরায়েল!”