মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড শিল্পসম্মত না হওয়ায় ড. ইউনূসের ক্ষোভ, চালু হচ্ছে ‘গ্রামীণ পাথর প্রকল্প’! Dr. Yunus Outraged by Unartistic Mitford Murder, Launches 'Grameen Stone Project'!

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাবুবাজার সংলগ্ন মিটফোর্ড এলাকায় পাথরাঘাতে নিহত ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগের খুনিদের উপর তীব্র হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন গ্রামীন ব্যাংকের বিশ্ববিখ্যাত কিস্তিবাজ, জিরোতত্ত্বের কালজয়ী জনক ও মাইনাস সূত্রের আন্তর্জাতিক ফেরিওয়ালা, গণতন্ত্রের গোপন স্নাইপার ও সংস্কারের কসমেটিক সার্জন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহম্মদ ইউনূস ষাঁড়। এই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পাথরের এবড়োখেবড়ো ও অনান্দনিক আকৃতি দেখে তিনি এতটাই ব্যথিত হয়েছেন যে, তিনি এটিকে তার শান্তি ও সৌন্দর্যময় দেশ গড়ার স্বপ্নের প্রতি এক চরম অপমান হিসেবে অভিহিত করেছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে তার নবনির্মিত ‘শান্তি ভবন’-এর বারান্দায় পায়চারি করতে করতে একদল বাছাই করা মোসাহেব সাংবাদিকের সামনে তিনি এই হতাশা ব্যক্ত করেন। তার এক হাতে ছিল তার অতি প্রিয় নোবেল পদক এবং অন্য হাতে মিটফোর্ডের ঘটনাস্থল থেকে কুড়িয়ে আনা হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি সাধারণ পাথর। দুটি বস্তু পাশাপাশি ধরে তিনি অশ্রুসজল নয়নে বলেন, “এই দেখো, তোমরা শুধু খুনটা করতেই শিখলে, কিন্তু খুনের শিল্পটা শিখলে না। একটা মানুষকে মারবেই যখন, তখন তাকে একটু শান্তিতে মারতে পারতে। এই দেখো আমার নোবেলটা, কী সুন্দর গোল, মসৃণ, দেখতেই কেমন একটা শান্তি শান্তি ভাব। আর এই দেখো তোমাদের পাথর, কী বিশ্রী! এবড়োখেবড়ো, অমসৃণ, দেখলেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। আমার দেশে এমন অশান্তিপূর্ণ পাথর দিয়ে খুন হবে, এটা আমি উপদেষ্টা থাকাকালীন অবস্থায় মেনে নিতে পারি না।”

হুহু করে কেঁদে উঠে জিরোতত্ত্বের জনক বলেন, “আমি কত স্বপ্ন নিয়ে প্রেসার গ্রুপ কনসেপ্ট চালু করলাম। ভাবলাম, জনগণ তাদের অধিকার আদায়ে নিজেরাই নিজেদের পথ খুঁজে নেবে, চাপ প্রয়োগ করবে। কিন্তু তারা যে এমন শিল্পবোধহীন ভাবে চাপ প্রয়োগ করবে, তা আমার কল্পনারও বাইরে ছিল। সোহাগ নামের লোকটাকে তো মারলি, ভালো কথা। কিন্তু পাথরগুলোর শেপ আমার নোবেলটার মতো করে নিলে কী এমন ক্ষতি হতো? লোকটা অন্তত মরার সময় ভাবতে পারত, ‘আহা, কী সুন্দর একটা গোল জিনিসের আঘাতে আজ আমার ভবলীলা সাঙ্গ হলো!’”

এই পর্যায়ে তিনি ‘প্রেসার গ্রুপ’ তথা গণপিটুনি স্কোয়াডের সদস্যদের জন্য দেশব্যাপী ‘নান্দনিক পাথর তৈরি ও ব্যবহার’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজনের ঘোষণা দেন। তিনি জানান, গ্রামীণ ব্যাংকের সামাজিক ব্যবসা মডেলের আওতায় শীঘ্রই ‘গ্রামীণ পাথর প্রকল্প’ চালু করা হবে। এই প্রকল্পের অধীনে দেশের প্রশিক্ষিত কারিগরদের ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হবে, যেন তারা নিখুঁত গোলাকার ও নোবেল পদকের আকৃতি বিশিষ্ট ‘শান্তির পাথর’ উৎপাদন করতে পারে। “ভবিষ্যতে সকল চাপ প্রয়োগের ক্ষেত্রে এই সামাজিক পাথর ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে,” যোগ করেন তিনি।

এদিকে, প্রধান উপদেষ্টার এই রূপ শিল্প সচেতন বক্তব্যে দেশজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ডের পর আটক হওয়া ‘প্রেসার গ্রুপ’-এর স্থানীয় কমান্ডার ও যুব সমাজের নয়নের মণি টিটন গাজীকে রিমান্ডে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। কোতোয়ালি থানার সৌন্দর্য সচেতন ওসি জনাব মনিরুজ্জামান মনিরের সামনে তিনি বলেন, “স্যার, উপদেষ্টা মহোদয়ের কনসেপ্টটা আমরা ঠিকমতো বুঝতে পারি নাই। আমরা ভাবছিলাম, শুধু টার্গেটকে দুনিয়া থেকে মাইনাস করে দিলেই স্যারের মাইনাস সূত্র বাস্তবায়ন হয়ে যাবে। কিন্তু এই মাইনাস করার প্রক্রিয়াটাও যে এত নান্দনিক হতে হবে, সেইটা আমাদের মাথায় আসে নাই। আমরা স্যারের দর্শনের অবমাননা করেছি। আমরা লজ্জিত, আমরা স্যারের কাছে ক্ষমা চাই। পরেরবার থেকে এমন ভুল আর হবে না। আমরা চাঁদা চাওয়ার পাশাপাশি পাথর চাঁছার যন্ত্রপাতিও সাথে রাখব।”

এই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক, জুলাই ষড়যন্ত্রের অন্যতম প্রধান তাত্ত্বিক, পশ্চিমা প্রেসক্রিপশনের গণতন্ত্রের মানসপুত্র, ছাত্রী লাগানো বিষয়ে বিশেষ পারদর্শী প্রেমিক পুরুষ এবং বিশ্ববিখ্যাত কারড্যান্সার, অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, “উপদেষ্টা মহোদয় যা বলেছেন, তাতেই দেশের আইন নিহিত। এটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি জনগণের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের স্বতঃস্ফূর্ত চাপ প্রয়োগ। আমাদের নতুন সংবিধানে ‘প্রেসার গ্রুপ’ একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। তবে তাদের কার্যক্রমের একটি নান্দনিক স্ট্যান্ডার্ড থাকা উচিত। উপদেষ্টা মহোদয়ের অনুভূতির প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা শীঘ্রই ‘গণপিটুনি সরঞ্জাম (সৌন্দর্যায়ন) আইন, ২০২৫’ পাশ করার কথা ভাবছি। এই আইনে পাথরের আকৃতি, মসৃণতা এবং ওজন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। আইন অমান্যকারী প্রেসার গ্রুপের সদস্যদের বিরুদ্ধে ‘গণপিটুনি সরঞ্জাম আইনের’ আওতায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অন্যদিকে, মামলার এজাহার নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছে, সে বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, এজাহার পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ, জনাব মনিরুজ্জামান মনির বলেন, “এজাহার পরিবর্তনের অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বাদীপক্ষ প্রথমে যে অভিযোগপত্রটি দিয়েছিল, সেটি ছিল ঐ বিশ্রী, এবড়োখেবড়ো পাথরের মতোই অগোছালো। আমরা উপদেষ্টা মহোদয়ের দর্শনের আলোকে সেটিকে একটু ঘষেমেজে, অপ্রয়োজনীয় আসামিদের নাম বাদ দিয়ে একটি সুন্দর, নোবেল আকৃতির এজাহার প্রস্তুত করেছি মাত্র। এতে মামলার সৌন্দর্য বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল হোতা হিসেবে যাদের নাম বাদ পড়েছে, তারা মূলত উপদেষ্টা মহোদয়ের শিল্পচেতনার অবমাননা করেছে। এমন শিল্পবোধহীন খুনিদের নাম এজাহারে রেখে আমরা মামলার শৈল্পিক মান ক্ষুণ্ণ করতে পারি না।”

নিহত সোহাগের স্ত্রী লাকি বেগমও স্বামীর হত্যার চেয়ে পাথরের আকৃতি নিয়ে বেশি দুঃখ পেয়েছেন বলে জানা গেছে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমার স্বামীরে তো ওরা মেরেই ফেলল। কিন্তু যাওয়ার আগে যদি একটা সুন্দর, গোল পাথরের বাড়ি খেয়ে মরত, তাহলে মনে সান্ত্বনা দিতে পারতাম যে, আমার স্বামী একজন নোবেলজয়ীর দেশের সৌখিন নাগরিক হিসেবে মৃত্যুবরণ করেছে। এই এবড়োখেবড়ো পাথরের আঘাতে মরে তো সে দেশের সম্মানটাই ডুবিয়ে দিল।”

সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, অধ্যাপক ইউনূস ‘গ্রামীণ পাথর প্রকল্পের’ জন্য ডিজাইন চূড়ান্ত করতে সুইডেনের নোবেল কমিটির সাথে যোগাযোগ করেছেন। তিনি নোবেল পদকের একটি ত্রিমাত্রিক ডিজিটাল মডেল চেয়ে পাঠিয়েছেন, যেন দেশের কারিগররা নিখুঁতভাবে শান্তির পাথর তৈরি করতে পারে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, অচিরেই বাংলাদেশ ‘নান্দনিক গণপিটুনি’র ক্ষেত্রে বিশ্বে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।