নিউইয়র্কে আখতার হোসেনের ওপর ডিম বৃষ্টি: দেশপ্রেমিক প্রবাসীদের পুষ্টিকর সংবর্ধনা!
বিশেষ প্রতিবেদক, দৈনিক কার্টুনুস: অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বিশ্বশান্তির দূত, অন্তর্বর্তীকালীন শান্তিরক্ষা সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় কতিপয় রাজনৈতিক সফরসঙ্গীসহ যুক্তরাষ্ট্রের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছেন। তবে তার আগমনের সকল আলো কেড়ে নিয়েছেন সফরসঙ্গী ও ৫ আগস্টের তথাকথিত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম রূপকার, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী দেশপ্রেমিক নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে এক অভূতপূর্ব ও পুষ্টিগুণে ভরপুর সংবর্ধনা লাভ করেন।
জানা যায়, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট এবং দেশজুড়ে গণহত্যা চালিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর বিশ্বদরবারে নিজেদের চেহারা দেখাতে যাওয়া এই কুখ্যাত দলটি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর খবর পেয়েই সেখানে জড়ো হন শত শত দেশপ্রেমী প্রবাসী। তাদের হাতে ছিল না কোনো ফুল, ছিল না কোনো তোড়া। দেশের সম্পদ লুণ্ঠনকারী ও হাজারো মায়ের কোল খালি করা এসব নর্দমার কীটদের বরণ করে নিতে তারা সঙ্গে এনেছিলেন খাঁটি দেশি মুরগির ভিটামিনযুক্ত পচা ডিম। তাদের চোখেমুখে ছিল তীব্র ঘৃণা আর হাতে ছিল প্রতিবাদের পুষ্টিকর গোলা।
প্রত্যক্ষদর্শী এক দেশপ্রেমিক প্রবাসী, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে জানান, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় ছিলাম। এই লোকগুলো দেশে যা শুরু করেছে, তাতে এদেরকে ডিম মারাটাও কম হয়ে যায়। ৫ আগস্টের ভুয়া বিপ্লবের নামে এরা দেশকে ভাগাড়ে পরিণত করেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে এখন জাতিসংঘের মঞ্চে সাধু সাজতে এসেছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিই, এদের আসল রূপ বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে এদেরকে জৈব পদ্ধতিতে সংবর্ধনা দেব।”
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, প্রধান উপদেষ্টার গাড়িবহর যখন বের হচ্ছিল, ঠিক তখনই দেশপ্রেমিক জনতা স্লোগান দিতে শুরু করে। তাদের স্লোগানের মূল লক্ষ্যবস্তু ছিলেন এনসিপি নেতা আখতার হোসেন। জনতা যখন ‘লুটেরা, লুটেরা’, ‘গণহত্যাকারী, গণহত্যাকারী’, বলে চিৎকার করছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে জনতার মধ্য থেকে কয়েকটি উড়ন্ত ডিম নিখুঁত নিশানায় আখতার হোসেনের শরীর মোবারকে আঘাত হানে। ডিমের তরল কুসুম আর সাদা অংশ তার হাজার ডলারের কোটের উপর দিয়ে গড়িয়ে পড়তে থাকলে এক অবর্ণনীয় দৃশ্যের অবতারণা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা এই ডিম নিক্ষেপকে ‘গণডিম্বায়ন’ আখ্যা দিয়েছেন। বলা বাহুল্য, এই ডিম নিক্ষেপের মাধ্যমে আখতার হোসেন ‘আন্তর্জাতিক ডিমপ্রাপ্ত’ নামক এক বিরল খেতাবে ভূষিত হন।
এই ঘটনায় যুগপৎ বিস্মিত ও ডিমের গন্ধে আহত আখতার হোসেন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান দেওয়ার চেষ্টা করেন। তার এই স্লোগান শুনে উপস্থিত জনতা ‘ইনকিলাব চুদলিং পং‘ শ্লোগান দিতে থাকে। একজন মন্তব্য করেন, “যার নিজের পিঠ চুদলিং পং হয়ে গেল, সে আবার ইনকিলাবের কথা বলে!” ক্ষুব্ধ আখতার হোসেন পরবর্তীতে গণমাধ্যমকে বলেন, “ভাঙা ডিমে কিছু যায় আসে না।” তার এই বক্তব্যে উপস্থিত জনৈক রসিক প্রবাসী বলেন, “যাদের আত্মাই পচে গেছে, তাদের আবার ভাঙা ডিমের ভয় কী? হাজার কোটি টাকা হজম করেছেন, আর দুটো ডিম হজম করতে পারবেন না?”
এই ঘটনার পর বিশ্লেষক মহলে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিশিষ্ট রাষ্ট্রচিন্তাবিদ ডক্টর জাহেদ উর রহমান বলেন, “এটি একটি যুগান্তকারী ঘটনা। প্রবাসী দেশপ্রেমিকরা প্রমাণ করেছেন যে, দেশের সম্পদ লুট করে ও গণহত্যা চালিয়ে বিদেশে শান্তিতে থাকা যায় না। এই ডিম নিক্ষেপ কোনো সাধারণ ডিম নিক্ষেপ নয়, এটি হলো স্বৈরাচারের গালে মজলুম জনতার পুষ্টিকর চপেটাঘাত। আমি এই প্রতিবাদকে ‘ডিম্ব-বিপ্লব’ হিসেবে আখ্যায়িত করতে চাই।”
এদিকে, আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপের পর বাকি সফরসঙ্গীদের মুখ কালো করে বিমানবন্দর ত্যাগ করতে দেখা গেছে। তাদের এই ডিম-সিক্ত মুখই যেন বলে দিচ্ছিল, দেশপ্রেমিক জনতার কাছে তারা কতটা ঘৃণিত। প্রবাসীদের এই স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ প্রমাণ করে, পৃথিবীর যে প্রান্তেই লুটেরা ও গণহত্যাকারীরা যাক না কেন, দেশপ্রেমের পচা ডিম তাদের তাড়া করে ফিরবে।
#Cartunus Daily, #অন্তর্বর্তী সরকার, #আখতার হোসেন, #আখতার হোসেনের ওপর ডিম নিক্ষেপ, #ইনকিলাব চুদলিংপং, #ইনকিলাব জিন্দাবাদ, #এনসিপি, #কার্টুনুস ডেইলি, #চুদলিং পং, #চুদলিংপং, #জাতিসংঘ, #জাতীয় নাগরিক পার্টি, #জেএফকে বিমানবন্দর, #ডা. তাসনিম জারা, #ডিম নিক্ষেপ, #ডিম মারা, #তাসনিম জারা, #দেশপ্রেম, #দৈনিক কার্টুনুস, #নর্দমার কীট, #নিউইয়র্ক, #পচা ডিম, #প্রধান উপদেষ্টা, #প্রবাসী বাংলাদেশি, #বিক্ষোভ সমাবেশ, #ভুয়া গণঅভ্যুত্থান, #মুহাম্মদ ইউনূস, #রম্য প্রতিবেদন