সাবানের গর্ত রহস্য: দাওয়াতে এসে ইজ্জত বাঁচাতে ঊর্ধ্বশ্বাসে পালালো হাসনাত আবদুল্লাহ
বিশেষ প্রতিবেদক, দৈনিক কার্টুনুস: ভোজনরসিক হাসনাত আবদুল্লাহ সম্প্রতি এক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির শিকার হয়ে খাসির রেজালা ও বাসমতী চালের পোলাওয়ের দাওয়াত উপেক্ষা করে নিজ সম্মান রক্ষার্থে পলায়ন করেছেন বলে জানা গেছে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জুলাই ষড়যন্ত্রের মহান কামলা, পরিবর্তনের অগ্রদূত, জাতীয় রাজনীতিতে ‘লাগানোর’ গুরুত্ব অনুধাবনকারী একমাত্র দার্শনিক, এনসিপির যুগ্ম লাগায়ক ও আন্তর্জাতিক মানের হস্তশিল্পী সারোয়ার তুষারের বাসভবনে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সারোয়ার তুষারের পক্ষ থেকে ভূরিভোজের লোভনীয় আমন্ত্রণ পেয়ে পাকিস্তানপন্থী ছাত্র সংগঠন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ যারপরনাই আনন্দিত হয়েছিলেন। নির্দিষ্ট দিনে তিনি সুগন্ধি আতর মেখে যথা সময়ে বন্ধুর বাসায় উপস্থিত হন। খাওয়ার পূর্বে হাত ধোয়ার উদ্দেশ্যে তিনি সারোয়ার তুষারের বাসার শৌচাগারে প্রবেশ করেন এবং সেখানেই তার জন্য অপেক্ষা করছিল এক অভাবনীয় দৃশ্য। বেসিনের উপর রাখা সাবানদানি থেকে সাবানটি হাতে নিতেই তার চক্ষু চড়কগাছ। তিনি দেখেন, সাবানটির ঠিক মধ্যিখানে কে যেন পরম মমতায় একটি সুড়ঙ্গ রচনা করিয়াছে। সাবানটির আকার ও আকৃতি এতটাই রহস্যময় ছিল যে, মুহূর্তের জন্য তার মনে হলো এটি কোনো আধুনিক ভাস্কর্য শিল্প কিনা।
কিন্তু পরক্ষণেই সারোয়ার তুষারের চারিত্রিক গুণাবলীর কথা স্মরণ করে তার অন্তরাত্মা কেঁপে ওঠে। নীলা ইসরাফিলকে দেওয়া তুষারের “তুমি কি আমাকে লাগাতে দিবা” প্রস্তাবের কথা স্মরণে আসতেই হাসনাত আবদুল্লাহ গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে পড়েন। এই সাবান দিয়ে কি শুধু হাতই ধোয়া হয়, নাকি এর ব্যবহার আরও গভীর ও বহুমুখী? এই বাড়িতে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত কি তার সম্মান ও ইজ্জতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ? এই বাড়ির চেয়ার-টেবিল, থালা-বাসন, এমনকি পরিবেশন করা বেগুন ভাজির বেগুনগুলা কি তবে বিশেষ বিশেষ কাজে ব্যবহৃত হয়? এসব ভাবতে ভাবতে তার কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে ওঠে।
তিনি উপলব্ধি করেন, পেটের ক্ষুধা নিবারণের চেয়ে পশ্চাতদেশের ফুঁটা রক্ষা করা অধিক জরুরি। অতঃপর আর এক মুহূর্তও বিলম্ব না করে তিনি পকেট থেকে ফোন বের করে কানে ধরে এমন একটি ভাব করলেন, যেন অপর প্রান্ত থেকে তার সোলমেট সারজিস আলম তাকে এক্ষুনি বাসায় না ফিরলে জীবন তেজপাতা করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।
এভাবেই নিজের পশ্চাতদেশের ফুঁটা বাঁচানোর তাগিদে পোলাও-মাংস আর বেগুন ভাজির মায়া ত্যাগ করে দাওয়াত না খেয়েই সারোয়ার তুষারের বাসা থেকে ঊর্ধ্বশ্বাসে চম্পট দিলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।