
যার কেউ নাই তার নোবেল আছে | ড. ইউনূস x বেকার শ্রমিক | বিপ্লবী কবিতা | বাংলা কবিতা আবৃত্তি
“যার কেউ নাই তার নোবেল আছে” শীর্ষক কবিতাটি ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে এক শাণিত ও বিপ্লবী উচ্চারণ। এটি একটি নোবেল পুরস্কারের ফাঁকা গর্বকে পুঁজি করে গড়ে ওঠা এক স্বৈরশাসনের মুখোশ উন্মোচন করে। কবি এখানে বন্ধ কারখানা, দেউলিয়া অর্থনীতি আর ডাস্টবিনে পড়ে থাকা ক্ষুধার্ত মানুষের করুণ চিত্রের মাধ্যমে এক নিষ্ঠুর বাস্তবতা তুলে ধরেছেন। প্রতিটি স্তবকে ফিরে আসা বিদ্রূপাত্মক “যার কেউ নাই তার নোবেল আছে” লাইনটি ড. ইউনূসের অন্তঃসারশূন্য আশ্বাসকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করে। কবিতাটি সরাসরি ইউনূসকে ‘মহাজন’ আখ্যা দিয়ে তাঁর মিথ্যে সম্মানের মসনদ ক্ষুধার্ত জনগণের সম্মিলিত ক্রোধে ভেসে যাওয়ার এক শক্তিশালী ভবিষ্যদ্বাণী করে। চূড়ান্তভাবে, এই রচনাটি শুধু একটি কবিতা নয়, বরং একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে জনতার অবশ্যম্ভাবী প্রতিবাদের এক জোরালো হুঙ্কার।
কবিতা: যার কেউ নাই তার নোবেল আছে
কবি: কার্টুনুস ডেইলি
কন্ঠ: কার্টুনুস ডেইলি
বেকার শ্রমিক প্রশ্ন করে, বন্ধ কারখানার ওই গেটটাতে,
দেউলিয়া দেশের জীর্ণ দেয়ালে, কে লিখেছে মাঝরাতে?
যার কেউ নাই তার নোবেল আছে?
অর্থনীতির মরা বাঘটা পড়ে আছে রাজপথে,
বেকার মিছিল প্রশ্ন করে থমকে থাকা ভবিষ্যতে।
উত্তর ভাসে হাওয়ায় হাওয়ায়, প্রতিধ্বনির সাথে–
যার কেউ নাই তার নোবেল আছে।
ডাস্টবিনে এক ক্ষুধার্ত বৃদ্ধ পদকের ছবিটাকে ‘খোদা’ ভেবে,
হাত জোড় করে বলে, ভাত হয়ে যাও, প্রভু, দয়া করে!
যার ভাত নাই, তার? ইউনূস হাসে… আহাহহাহা…
যার ভাত নাই তারও নোবেল আছে।
মহাজন, মসনদ তোর টিকবে কতক্ষণ?
ফাঁকা গর্বের বেলুন ফুটাবে ক্ষুধার্ত জনগণ।
ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে আজ, জনতা হয়েছে বান,
ভাসিয়ে নেবে তোমার তখত্, সব মিথ্যে সম্মান।
ইতিহাস সাক্ষী, কোনোদিন কোনো প্রাসাদ টেকেনি ঋণে,
তোমার পতন লেখা হয়ে গেছে, অনাহারী প্রতিটি দিনে।
তবু মসনদের ভাঙা চূড়া থেকে প্রেতাত্মা এসে বলে যাবে কানে
যার কেউ নাই তার নোবেল আছে…