মুগ্ধ – “পানি লাগবে? পানি?”“ধুর শা*লা, বোতল খাইয়া কুল পাইনা, পানি খামু কখন?” – মাহফুজ আলম
এসবের মধ্যেই সম্ভবত একজন মানবদরদী (?) পথচারী, নাম শোনা যাচ্ছে মুগ্ধ, তিনি নাকি মহাব্যস্ত মাহফুজকে জিজ্ঞেস করে বসেন, “পানি লাগবে? পানি?” ভাবুন একবার সেই মুহূর্তের মাহফুজ আলমের ভেতরের অবস্থা! গায়ে পড়ছে বোতল, জীবন যায় যায় দশা, আর কেউ জিজ্ঞেস করছে পানি লাগবে কিনা! এমন অবান্তর প্রশ্নে মেজাজ ঠিক রাখা দায়। তাই নাকি তীব্র হতাশা আর খানিকটা আঞ্চলিক ভাষায় মাহফুজ সজোরে প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, “ধুর শা*লা, বোতল খাইয়া কুল পাইনা, পানি খামু কখন?” – কথাটি নাকি পরবর্তীতে জ্ঞানীদের মহলে ব্যাপক দার্শনিক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।তবে ঘটনার এখানেই শেষ নয়, বোতল খাওয়ার পর মাহফুজকে নাকি রীতিমতো যুদ্ধাহত বীরের মতো চিকিৎসা নিতে হয়েছে। গুরুত্ব বুঝে করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাথার সিটি স্ক্যানও! ভাবুন কান্ড! সামান্য কয়েকটি বোতলের আঘাতের পর সিটি স্ক্যান! আর এই পুরো ঘটনায় মহাগুরুত্বপূর্ণ মাত্রা যোগ করেছেন মাহফুজ আলমের পরম শ্রদ্ধেয় গুরু, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পিনাকি ভট্টাচার্য। গুরুজি নাকি তাঁর গভীর জ্ঞান এবং প্রজ্ঞা দিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, এই মারাত্মক বোতল হামলার কারণে মাহফুজ স্মৃতিশক্তিও হারিয়ে ফেলতে পারেন! শুধু তাই নয়, তিনি নাকি তাঁর আহত শিষ্যকে কড়া ৭ দিনের সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকার মহা মূল্যবান পরামর্শও দিয়েছেন।
বুঝতেই পারছেন, এই যুগে বোতল হজম করা কতটা কঠিন! বোতল শুধু পান করার জিনিস নয়, গায়ে লাগলে তার ফল যে কত মারাত্মক হতে পারে, যে জন্য সিটি স্ক্যান লাগে, গুরুজিকে দিয়ে স্মৃতি হারানোর ভবিষ্যৎবাণী করাতে হয় এবং বেড রেস্ট লাগে, তা মাহফুজ আলমের এই ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। সুতরাং পাঠক সাবধান! বোতল থেকে দূরে থাকুন… অন্তত নিজের শরীর বাঁচাতে! স্মৃতিশক্তি বাঁচাতে!