
শেষ প্রতিবেদক, দৈনিক কার্টুনুস: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে সাম্প্রতিক বিতর্ক এবং ভোট কারচুপির অভিযোগ রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যখন ক্যাম্পাসজুড়ে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার, ঠিক তখনই এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন এই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু, সহকারী প্রক্টর আল্লামা শেহরীন আমিন মোনামী। তবে তিনি অভিযোগ খণ্ডন করতে গিয়ে যা বললেন, তা নিছক কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল না, বরং ছিল পদার্থবিদ্যা ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক অভিনব সংমিশ্রণ! আমাদের আজকের আয়োজন সেই সংবাদ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে।
এই রম্য প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, কীভাবে শেহরীন আমিন মোনামী তার বিরুদ্ধে আনা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগকে বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করছেন। তার মতে, ব্যালট পেপারে নির্দিষ্ট প্রতীকে আগে থেকে সিল পড়ে যাওয়া কোনো কারচুপি নয়, এটি ‘কালি-পদার্থবিদ্যা’ (Ink-Physics) নামক এক জটিল প্রক্রিয়ার ফল। তিনি দাবি করেন, কিছু প্রার্থীর প্রতি ব্যালট পেপারের ‘রাজনৈতিক অভিকর্ষ’ এতটাই তীব্র ছিল যে, কালি নিজেই লাফিয়ে গিয়ে সঠিক জায়গায় পড়েছে!
তবে আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল তার ‘রগ-ব্যবস্থাপনা’ (Tendon Management) তত্ত্ব। তিনি তার তথাকথিত শিবিরপ্রীতির কারণ হিসেবে নিজের এবং ক্যাম্পাসের সকলের ‘রগ’ বাঁচানোর দূরদর্শী পদক্ষেপকে উল্লেখ করেন। তার মতে, এটি কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং একটি ‘শারীরবৃত্তীয় বাস্তবতা’র পূজা। এই রম্য প্রতিবেদনে দেখাযনো হয়েছে, তিনি কীভাবে শিবিরকে একটি রাজনৈতিক দলের বদলে, ‘মানব শারীরবিদ্যা গবেষণাগার’ হিসেবে উপস্থাপন করেন। এই ব্যঙ্গাত্মক উপস্থাপনাটি মূলত ভয় ও ক্ষমতার রাজনীতিকে হাস্যরসের মাধ্যমে তুলে ধরেছে, যা দর্শকদের একই সাথে হাসাতে ও ভাবতে বাধ্য করবে।
এই প্রতিবেদনটি কেবল একটি হাসির ভিডিও নয়, এটি বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক সংস্কৃতির এক ধারালো রম্যচিত্র। এমবেড করা ভিডিওটি প্লে করে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি উপভোগ করুন এবং কমেন্ট সেকশনে আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।