দীর্ঘ ১৭ বছরের অচলায়তন ভেঙে, অন্ধকার যুগ পেছনে ফেলে, আজ উন্মোচিত হলো এক যুগান্তকারী সত্য!
যে ইতিহাস এতদিন সযত্নে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বাঙালি জাতির কাছ থেকে। সেই ‘সান্ডার প্রকৃত ইতিহাস’ জাতির সামনে তুলে ধরেছেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার এই সাহসী পদক্ষেপের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ভূষিত করা হয়েছে দ্বিতীয় নোবেল পুরস্কারে।
আজ সকালে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য স্বাধিনতাবিরোধী-দেশোদ্রোহী ও পাকিস্তানপন্থী বুদ্ধিজীবীগণ। সেখানেই এই ঐতিহাসিক ঘোষণা আসে। অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন স্বয়ং ‘নতুন সান্ডা’ নামক এক বিরল প্রজাতির সান্ডা, যিনি নিজ হাতে ড. ইউনূসের গলায় দ্বিতীয় নোবেল মেডেল পরিয়ে দেন।
পুরস্কার প্রদানকালে আবেগাপ্লুত ‘নতুন সান্ডা’ বলেন, “নুনুস স্যার! গত ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশিদের কাছে সান্ডার প্রকৃত ইতিহাস লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। আপনি এসে এই অচলায়তন ভেঙেছেন। আপনার জন্য তাই কফিলের ছেলের পক্ষ থেকে আরেকটি নোবেল।”
এ সময় উপস্থিত অন্যান্য সান্ডারা হাততালি দিয়ে ড. ইউনূসকে আরও ৫ বছর ক্ষমতায় থেকে যেতে অনুরোধ জানায়। তাদের সম্মিলিত কোরাস ছিল, “৫ বছর! ৫ বছর!”
সান্ডা দর্শনে জনতার ঢল
ড. ইউনূসের এই নোবেলপ্রাপ্তি এবং সান্ডার এই ‘বিপ্লবী’ ঘোষণায় গোটা দেশে এক অভূতপূর্ব সাড়া পড়েছে। বিশেষ করে গত কয়েকদিন ধরে যখন থেকে ‘সৌদির কফিলের প্রিয় খাবার সান্ডা’ শিরোনামে কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, তখন থেকেই সান্ডা নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ তুঙ্গে। বহু বছর ধরে বাঙালির খাদ্যাভ্যাসের বাইরে থাকা এই ‘ঐতিহাসিক’ সান্ডা এখন দেশের আনাচে-কানাচে হটকেক! সান্ডার তেল বিক্রির দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। কেউ সান্ডা খাচ্ছেন, কেউ লাগাচ্ছেন, কেউ সান্ডার সাথে সেলফিও তুলছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সান্ডার তেল বিক্রেতা কার্টুনুস ডেইলিকে বলেন, “ভাইজান, গত ১৭ বছর আমরা সান্ডার তেল বেচতে পারতাম না। লোকে চিনতো না। এখন নুনুস স্যার আসার পর থেকে সান্ডার তেল বিক্রি বাইরা গেছে। এই সব মিয়া নুনু স্যারের কেরামতি!”
মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সান্ডার আন্তঃসম্পর্ক
অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এই ‘১৭ বছরের সান্ডা-ইতিহাস’ আসলে কী? পাকিস্তানপন্থী দেশোদ্রোহী ও ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠ মহলের সূত্রে জানা গেছে, এই ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার নামে যে ‘মিথ্যা ইতিহাস(!)’ প্রচার করা হয়েছে, তার আড়ালে সান্ডার প্রকৃত ‘ঐতিহাসিক’ গুরুত্বকে চাপা দেওয়া হয়েছিল। তাদের মতে, সান্ডা কেবল একটি খাদ্যবস্তু নয়, এটি মুসলিম জাতির আত্মপরিচয়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত নামকরা দেশোদ্রোহী বুদ্ধিজীবী এবং ‘সান্ডা রক্ষা আন্দোলন’-এর প্রধান উদ্যোক্তা, ‘সান্ডা প্রেমিক’ আল্লামা আনু মিয়া বলেন, “আমরা এতদিন অন্ধকারে ছিলাম। সান্ডার প্রকৃত ইতিহাস আমাদের কাছে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এখন নুনুস স্যার এসে সেই অন্ধকার দূর করেছেন। সান্ডাতেই আমাদের সত্যিকারের স্বাধীনতা, সান্ডাতেই আমাদের মুক্তি!”
এদিকে, এই নতুন ‘সান্ডা-ইতিহাস’ নিয়ে দেশের স্বাধিনতাপন্থী মহলে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের মতে, ‘এসবই জাতিকে বিভ্রান্ত করার একটি অপচেষ্টা’। তবে ড. ইউনূস ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এসব অভিযোগকে ‘১৭ বছর ধরে মিথ্যা ইতিহাসের শিকার একদল বিভ্রান্ত মানুষ’-এর অনর্থক প্রলাপ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
ভবিষ্যতের সান্ডাময় বাংলাদেশ
ড. ইউনূসের নেতৃত্বে এবং সান্ডার আশীর্বাদে বাংলাদেশ এখন এক নতুন দিগন্তে। দেশের প্রতিটি প্রান্তে এখন সান্ডাময় এক পরিবেশ। সান্ডা কেবল খাদ্য হিসেবে নয়, এটি বাঙালি মুসলিম জাতির নতুন জাতীয় প্রতীক হয়ে উঠেছে। এমনও শোনা যাচ্ছে, নতুন শিক্ষাক্রমে সান্ডার ইতিহাস বাধ্যতামূলক করা হবে এবং জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ব্যান করে সান্ডার অবদান বিশদভাবে আলোচনা করা হবে।
চুনায়েদ বাকি নামের এক পাকিচীনস্তানিপন্থী বিশ্লেষক কার্টুনুস ডেইলিকে জানান, “এটা তো সবে শুরু। নুনুস স্যার দেশের আরও কত লুকানো ইতিহাস যে উন্মোচন করবেন, তা ভাবলেই গায়ে কাঁটা দেয়!”
সবশেষে, ড. ইউনূসের এই দ্বিতীয় নোবেল প্রাপ্তি এবং সান্ডার জয়যাত্রা জাতিকে কোন নতুন পথে নিয়ে যায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।