অশ্লীল স্লোগানের তীব্রতায় দিশেহারা রাজপথ, লন্ডন পর্যন্ত অনুভূত কম্পন

অশ্লীল স্লোগানের তীব্রতায় দিশেহারা রাজপথ, লন্ডন পর্যন্ত অনুভূত কম্পন। Streets bewildered by the intensity of obscene slogans, tremors felt as far as London. অশ্লীল স্লোগানের তীব্রতায় দিশেহারা রাজপথ, লন্ডন পর্যন্ত অনুভূত কম্পন। Streets bewildered by the intensity of obscene slogans, tremors felt as far as London.

বিশেষ প্রতিনিধি, লন্ডন ডেস্ক: সম্প্রতি রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন ধারার স্লোগানের উন্মোচন ঘটেছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে আয়োজিত স্বতঃস্ফূর্ত মিছিলে এমন সব সৃজনশীল ও অশ্রুতপূর্ব স্লোগান উচ্চারিত হচ্ছে, যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও চলছে গভীর গবেষণা। বিশেষ করে, লন্ডনে নির্বাসিত ও দেশের রাজনীতিতে দূরবর্তী-নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালনকারী যুবরাজ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উচ্চারিত স্লোগানগুলো পদার্থবিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত অনেক তত্ত্বকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।

ঘটনার পর থেকেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে এসে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। তবে তাদের এই ক্ষোভ প্রকাশের পদ্ধতি ছিল সম্পূর্ণ অভিনব। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মিছিল থেকে এমন সব শব্দ-তরঙ্গ উৎসারিত হচ্ছিল যা আশেপাশের ভবনের দেয়ালে মৃদু কম্পন সৃষ্টি করতে সক্ষম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পদার্থবিজ্ঞানের এক ছাত্র জানান, ‘আমরা এতদিন বইয়ে পড়েছি শব্দ এক প্রকার শক্তি। আজ স্বচক্ষে দেখলাম, এই শক্তি দিয়ে কংক্রিটের পিলারও কাঁপানো সম্ভব। এটি স্লোগান নয়, এটি এক প্রকার ধ্বনি-অস্ত্র।’

এদিকে, দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজবিজ্ঞানীরা এই নতুন ধারার স্লোগানকে ‘রাজনৈতিক অভিব্যক্তির উত্তর-আধুনিক রূপ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আন্তর্জাতিক স্লোগান ও পাল্টা-স্লোগান গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ডক্টর আলুওয়ালা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘দেখুন, যুগ পাল্টেছে। এখনকার তরুণরা চায় দ্রুত ফল। আগে যেখানে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে দিনের পর দিন কর্মসূচি, হরতাল, অবরোধ করতে হতো, এখন সেখানে মাত্র কয়েকটি সুনির্দিষ্ট ও লক্ষ্যভেদী স্লোগানই যথেষ্ট। এই স্লোগানগুলোর ‘অ্যাকোস্টিক ইমপ্যাক্ট’ এতটাই প্রচণ্ড যে তা সরাসরি প্রতিপক্ষের আত্মবিশ্বাস ও ভাবমূর্তিতে আঘাত হানতে সক্ষম।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা এই স্লোগানগুলোর প্যাটেন্ট করার জন্য আবেদন করার কথা ভাবছি। এর বাণিজ্যিক সম্ভাবনা ব্যাপক।’

এই যুগান্তকারী স্লোগানের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক বিএনপি। দলের সিনিয়র নেতারা এই পরিস্থিতির আকস্মিকতায় হতবিহ্বল। সম্প্রতি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি বৈঠকে এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। বৈঠকে উপস্থিত থাকা এক নেতা নাম গোপন রাখার শর্তে জানান, ‘আমরা এখন উভয় সংকটে। একদিকে দলের কর্মীদের সংযত থাকতে বলা হচ্ছে, অন্যদিকে রাজপথে আমাদের নেতার বিরুদ্ধে এমন সব অশ্লীল বাক্যবাণ নিক্ষেপ করা হচ্ছে যার পাল্টা জবাব কী হতে পারে তা আমাদের জানা নেই। আমাদের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক পাল্টা স্লোগান রচনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।’

তবে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া গেছে লন্ডন থেকে। অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার রাজপথে উচ্চারিত অশ্লীল স্লোগানের কম্পন এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তা প্রায় আট হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে লন্ডনে অবস্থিত যুবরাজের বাসভবনেও মৃদুভাবে অনুভূত হয়েছে। এই অভূতপূর্ব ঘটনায় সেখানকার আবহাওয়া দপ্তর ও ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যুবরাজের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি বর্তমানে তার বাসভবনের নিরাপত্তা বৃদ্ধিকল্পে ‘সাউন্ডপ্রুফ’ দেয়াল নির্মাণের কথা ভাবছেন।

সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, এই অভিনব স্লোগান-প্রযুক্তি আমদানি করতে বিশ্বের বিভিন্ন অনুন্নত গণতান্ত্রিক দেশের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে, দেশের অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হওয়ায় একটি মহল মনে করছে, পোশাক শিল্পের পর ‘স্লোগান শিল্প’ হতে পারে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত। দেশের তরুণ সমাজের এই সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে পারলে অচিরেই বাংলাদেশ ‘স্লোগান পরাশক্তি’ (স্লোগান সুপারপাওয়ার) হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনেরা।

#, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *