তিরাশি কোটির ভেলকিবাজি: বিএনপিকে কাঁদিয়ে আমেরিকা পালালো আলী রীয়াজ। The 83 Crore Magic Trick Ali Riaz Fled to America, Leaving BNP in Tears.

ঐকমত্য সার্কাসের রিংমাস্টার উধাও! ৮৩ কোটির চা নাশতা খেয়ে আমেরিকা পালালো আলী রীয়াজ!

বিশেষ প্রতিবেদক, দৈনিক কার্টুনুস: নয় মাসব্যাপী এক মহাযজ্ঞ, তাত্ত্বিক কচকচানি আর ‘ঐকমত্য’ নামক এক ব্যয়বহুল নাটকের চূড়ান্ত পর্দা নেমেছে। আর এই নাটকের প্রধান কুশীলব, সংস্কার-চাণক্য অধ্যাপক আলী রীয়াজ, তার সবচেয়ে বড় ভেলকিবাজিটি দেখিয়ে মার্কিন মুলুকে অন্তর্ধান করেছেন। রেখে গেছেন এক হতভম্ব অন্তর্বর্তী সরকার এবং নয়াপল্টনে বুক চাপড়ে বিলাপ করা এক নালিশ পার্টিকে (বিএনপি)। আর রেখে গেছেন তিরাশি কোটি টাকার এক বিশাল ফর্দ, যা এই ‘সংস্কার-যজ্ঞের’ পারিশ্রমিক হিসেবে খরচ দেখানো হয়েছে।

ঘটনার আকস্মিকতায় বিএনপির সদর দপ্তরে এখন চলছে শোকের মাতম। দলের অশ্রুবিসর্জন-বিশেষজ্ঞ মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, টিস্যু পেপারে চোখ মুছতে মুছতে এক জরুরি বিলাপ-সম্মেলনে ডুকরে উঠে বলেন, “প্রতারণা! বিশ্ববাসীর সামনে এমন নির্লজ্জ প্রতারণা আমরা দেখিনি! আমরা সরল মনে এই ‘বুকিশ’ পণ্ডিতকে বিশ্বাস করেছিলাম। ভেবেছিলাম, উনিই আমাদের সংস্কারের তরী তীরে ভেড়াবেন। কিন্তু উনি তো দেখি তরীসুদ্ধ ডুবিয়ে দিয়ে নিজের নীল পাসপোর্টে চেপে সোজা আমেরিকায় পালালেন! উনি সংস্কারক নন, উনি একজন নিখুঁত ‘মার্কিনি দালাল’!”

অনুসন্ধানে জানা যায়, এই তথাকথিত ‘সংস্কার কমিশন’ ও ‘ঐকমত্য কমিশন’ ছিল একটি ব্যয়বহুল গবেষণাগার। এই গবেষণাগারের প্রধান বিজ্ঞানী ছিলেন আলী রীয়াজ। তার কাজ ছিল ‘জুলাই সনদ’ নামক এক অধরা বস্তুর ওপর দিনের পর দিন গবেষণা চালানো। এই গবেষণার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার তাকে তিরাশি কোটি টাকার এক বিশাল বাজেট বরাদ্দ করে। মির্জা ফখরুল ও তার দলবল এই গবেষণাগারে ‘গিনিপিগ’ হতে সানন্দে রাজি হয়েছিলেন। তারা ভেবেছিলেন, গবেষণার ফল তাদের পক্ষেই যাবে।

কিন্তু তারা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি, এই পুরো গবেষণাই ছিল এক বিশাল আইওয়াশ। আলী রীয়াজ সাহেব এই নয় মাস ধরে জনগণের টাকায় গবেষণা চালানোর নামে আসলে নিজের পলায়নের নিখুঁত স্ক্রিপ্ট লিখছিলেন।

এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি বোকা বনেছে খোদ অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপদেষ্টা কপাল চাপড়ে বলেছেন, “আমরা তো উনাকে দেশের সংবিধান সংস্কারের দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তিনি যে নিজের ব্যাংক ব্যালেন্স সংস্কার করে ফেলবেন, তা কে জানতো! আমরা উনার সবুজ পাসপোর্টের ওপর আস্থা রেখেছিলাম, কিন্তু ভুলে গিয়েছিলাম উনার বগলে যে আরও একটি নীল পাসপোর্ট আছে। তিনি যে তিরাশি কোটি টাকার গবেষণা শেষে গোজামিল দেওয়া একটা রিপোর্ট জমা দিয়ে উড়াল দেবেন, তা আমাদের গোয়েন্দারাও ধরতে পারেনি।”

এদিকে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর, যিনি শুরু থেকেই এই ৮৩ কোটির হিসাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, তিনি এই ঘটনায় অট্টহাসি দিয়ে বলেছেন, “আমি তো আগেই বলেছিলাম! ডক্টর ইউনূস এমন এক পণ্ডিত আমদানি করলেন, যিনি নয় মাস ধরে তিরাশি কোটি টাকা খরচ করে পালিয়েছেন, এখন তো ‘মাঠও নাই, পুরোহিতও নাই’? আরে ভাই, পুরোহিত তো ৮৩ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়ে প্লেনে বসে শ্যাম্পেন খাচ্ছে! ড. ইউনূস এক মূষিক প্রসব করেছেন, আর সেই মূষিক দেশের পনির খেয়ে আমেরিকার গর্তে সেঁধিয়েছে!”

এই ঘটনায় নালিশ পার্টি বিএনপি পড়েছে ত্রিশঙ্কু অবস্থায়। তারা দীর্ঘ ষোলো বছর কান্নাকাটির পর এই সংস্কার কমিশনের কাঁধে ভর করে ক্ষমতার মসনদে বসার স্বপ্ন দেখছিল। তারা ‘মার্কিনি দালাল’ জেনেই তার সঙ্গে দিনের পর দিন চা-সিঙ্গাড়া খেয়েছে, এই আশায় যে দালাল সাহেব তাদের হয়ে কাজ করবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে তারা দেখলো, দালাল সাহেব তাদের হয়ে কাজ তো করেনইনি, উল্টো তাদের ‘নোট অব ডিসেন্ট’গুলোকেই টয়লেট পেপার বানিয়ে আমেরিকা পালিয়েছেন।

সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন আমেরিকার দূতাবাসে জরুরি চিঠি পাঠিয়ে আলী রীয়াজকে ফেরত চাইছেন না, তিনি শুধু তার ‘নোট অব ডিসেন্ট’ লেখা কাগজগুলো ফেরত চেয়েছেন। কারণ, সামনে নির্বাচন, ওই কাগজগুলো ছাড়া নতুন ইশতেহার বানাতে তাদের নাকি খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে!