এশিয়ার ‘বাঘ’ এখন দেউলিয়া: নোবেল বিজয়ী ইউনূস ম্যাজিকে ক্ষুধা-বেকারত্বে বন্দি বাংলাদেশ
বিশেষ প্রতিবেদক, দৈনিক কার্টুনুস: যে দেশেটাকে একদা এশিয়ার ইমার্জিং টাইগার বলা হতো, গত দশ বছরে এশিয়ার সফল অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে যে দেশটি ছিল, সে দেশের অর্থনীতির কফিনে আজ শেষ পেরেক ঠোকার আয়োজন চলছে। বিদেশি বিনিয়োগ তলানিতে, হাজার হাজার কারখানা বন্ধ, আর লক্ষ লক্ষ শ্রমিক ক্ষুধার্ত উদর নিয়ে রাজপথে ঘুরছে। দেশের এই করুণ পরিণতির বিপরীতে উল্কার গতিতে উত্থান ঘটেছে এক নতুন সাম্রাজ্যের ‘গ্রামীণ সাম্রাজ্য’। আর এই অবিশ্বাস্য উত্থান-পতনের নাটকের নেপথ্যের কারিগর হিসেবে যার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা হচ্ছে, তিনি আর কেউ নন, স্বয়ং দেশের নোবেলজয়ী প্রধান উপদেষ্টা বাহাদুর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত চৌদ্দ মাসে, ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এক অদ্ভুত জাদুকরী ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির যত অমঙ্গল হচ্ছে, ঠিক ততটাই মঙ্গল হচ্ছে গ্রামীণ পরিবারের। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে গত প্রান্তিকে, প্রায় বাষট্টি ভাগ পতন। ঠিক একই সময়ে গ্রামীণ ব্যাংকের বিদেশি অর্থায়ন বেড়েছে প্রায় সাতশ ভাগ। দেশের একশ পঁচাশিটি পোশাক কারখানা যখন গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ হয়ে গেল, ঠিক তখনই গ্রামীণ শক্তি ‘নোবেলীয় সৌরশক্তি’ ব্যবহার করে এতটাই উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে যে, তারা এখন মঙ্গলগ্রহে বিদ্যুৎ রপ্তানির পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে, স্পেস এক্স এর প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের সাথে যেকোন সময় হতে পারে চুক্তি।
এই দ্বিমুখী নীতির রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে আমাদের প্রতিবেদক কথা বলেন সাবেক নৌকা ও হালের ধানের শীষের যাত্রী, টকশোর গরম মশলা গোলাম মাওলা রনির সঙ্গে। তিনি এক যুগান্তকারী তত্ত্ব সামনে নিয়ে এসেছেন, যার নাম ‘নোবেলীয় চৌম্বকক্ষেত্র তত্ত্ব’। গোলাম মাওলা রনি বলেন, “আপনারা বিষয়টা বুঝছেন না। মহোদয়ের নোবেল প্রাপ্তির পর তাঁর চারপাশে এক শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তিনি যখন দেশের ক্ষমতায় আসীন হয়েছেন, তখন এই ক্ষেত্রটি আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি দেশের সমস্ত ইতিবাচক অর্থনৈতিক শক্তি, যেমন বিনিয়োগ, মুনাফা, বৈদেশিক মুদ্রা, শুষে নিয়ে সরাসরি গ্রামীণ সাম্রাজ্যের কোষাগারে জমা করছে। আর দেশের ভাগে পড়ছে শুধু নেতিবাচক শক্তি, যেমন খেলাপি ঋণ, বেকারত্ব আর দীর্ঘশ্বাস।”
এদিকে দেশের এই অর্থনৈতিক দুর্দশা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ই শুধু নয়, এমনকি উপদেষ্টা পরিষদের অন্যান্য সদস্যদেরও কোনো হেলদোল নেই। সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে যখন একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, “মহাশয়, মানুষ খেতে পারছে না, ডাস্টবিনে লাশ পরে থাকছে, এর সমাধান কী?” জবাবে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, ডাস্টবিন পাগলা জনাব শফিকুল আলম বলেন, “আরে ভাই, উদরের ক্ষুধা বড়, নাকি আত্মার ক্ষুধা বড়? আমরা তো আপনাদের আত্মাকে শান্তি দিচ্ছি। আপনাদের একজন নোবেলজয়ী শাসক আছেন, এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে? আপনারা তিন বেলা ভাতের বদলে এক বেলা ভাত খান আর দুই বেলা মহোদয়ের নোবেল পদকের ছবি দেখুন, দেখবেন উদর পূর্ণ হয়ে গেছে।”
সরকার এখন ‘রূপকল্প-নোবেল ২০৪১’ নামে এক নতুন জাতীয় পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় দেশের প্রতিটি নাগরিককে একটি করে নোবেল পদকের প্রতিরূপ দেওয়া হবে। শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাথমিক শ্রেণি থেকেই ‘ক্ষুদ্রঋণের মহত্ত্ব’ এবং ‘নোবেলের দশটি উপকারিতা’ শীর্ষক বিষয়গুলো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারের এক নীতি নির্ধারক জানান, “আমাদের লক্ষ্য হলো, দেশের মানুষ যেন ভাতের কথা ভুলে গিয়ে শুধু নোবেল নিয়ে গর্ব করতে শেখে। একটি গর্বিত জাতি গঠনই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।”
গ্রামীণ সাম্রাজ্যে মানুষের জীবনযাত্রায় এসেছে আমূল পরিবর্তন। আজিমপুরের এক বাসিন্দা, যিনি সদ্য বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি কারখানার শ্রমিক ছিলেন, তিনি বলেন, “আগে মাস শেষে বেতন পেতাম, এখন মাস শেষে উপদেষ্টা বাহাদুরের হাসিমুখের একটি দেয়ালপত্র পাই। বাড়ির মালিক ভাড়া চাইতে আসলে বলি ‘ভাই, আপনার কাছে কি উপদেষ্টা মহোদয়ের বক্তৃতার কোনো ধ্বনিখণ্ড আছে? থাকলে ওটা শুনেই জঠর জুড়িয়ে নিন, টাকা পয়সা দিতে পারবো না’।”
সার্বিক পরিস্থিতি এটাই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ এখন একটি বৃহৎ পরীক্ষাগারে পরিণত হয়েছে, যেখানে পরীক্ষা চলছে, একটি দেশের অর্থনীতিকে পুরোপুরি ধ্বংস করে শুধু একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত অর্জন দিয়ে একটি জাতিকে কতদিন সম্মোহিত করে রাখা যায়। দেশের জনগণ এখন দুটি ভাগে বিভক্ত, একদিকে গ্রামীণ সাম্রাজ্যের সুবিধাভোগী, আর অন্যদিকে শূন্য উদরে নোবেল নিয়ে “গর্ব” করা কোটি কোটি জনতা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই পতন অনিবার্য ছিল। কারণ যে দেশের ভাগ্য নির্ধারিত হয় আমেরিকার দালাল নোবেল বিজয়ী ইউনূস দিয়ে, সে দেশের পতন ঠেকানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
#Cartunus Daily, #অর্থনৈতিক সংকট, #এশিয়ার ইমার্জিং টাইগার বাংলাদেশ, #এশিয়ার বাঘ এখন দেউলিয়া, #কারখানা বন্ধ, #গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ, #গোলাম মাওলা রনি, #গ্রামীণ ব্যাংক, #গ্রামীণ সাম্রাজ্যের উত্থান, #জ্বালানি সংকট, #ডক্টর ইউনূস, #তৈরি পোশাক শিল্প, #দৈনিক কার্টুনুস, #নোবেল পুরস্কার, #নোবেল বিজয়ী ইউনূস, #নোবেল বিজয়ী ইউনূস ম্যাজিক, #প্রধান উপদেষ্টা, #প্রেস সচিব, #বাংলাদেশ, #বাংলাদেশের পতন, #বিদেশি বিনিয়োগ, #বিনিয়োগে ধস, #বেকারত্ব সমস্যা, #রাজনৈতিক অস্থিরতা, #শফিকুল আলম