
আবু ত্বহা আদনান হুজুরের স্ত্রীর ফেসবুক স্ট্যাটাসে ফাঁস হলো ‘ছুলাছা-রুবায়া’ প্রকল্পের গোপন অধ্যায়
বিশেষ প্রতিবেদক, দৈনিক কার্টুনুস: মহাকাশ গবেষণা সংস্থা কিংবা আণবিক শক্তি কমিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরেও আজ এমন শোকের ছায়া নামেনি, যেমনটা নেমেছে ‘বহুবিবাহ ও প্রেমরস’ গবেষণা প্রকল্পের প্রধান গবেষণাগার, ‘যিন নূরাইন সেন্টারে’। সামান্য এক মুখপুস্তিকার দেয়ালচিত্রের (ফেসবুক স্ট্যাটাস) প্রলয়ংকরী ধাক্কায় যেন লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সব। এই সেন্টারের প্রধান গবেষক, ‘ছুলাছা-রুবায়া’ বাস্তবায়ন বোর্ডের স্বঘোষিত কর্ণধার এবং ভুবনবিখ্যাত নজর-হেফাজত তত্ত্বের প্রবাদপুরুষ, জ্ঞানতাপস আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানের অতিগোপনীয় মহাপরিকল্পনা সময়ের আগেই ফাঁস হয়ে যাওয়ায় বিজ্ঞানীমহলে তীব্র হাহাকার ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। যে মহাপরিকল্পনা মানবজাতির, বিশেষ করে পুরুষকুলের বহুগামীতার চিরায়ত আকাঙ্ক্ষাকে এক নতুন দিগন্ত দেখাতে পারত, তা আজ এক ষড়যন্ত্রের শিকার। আর সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হলো, এই গবেষণার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক এবং মাননীয় কর্ণধারের বর্তমান সহধর্মিণী স্বয়ং এই তথ্যভান্ডার জনসমক্ষে উন্মোচন করায় গবেষণাটি এক অভাবনীয় সংকটের অতল গহ্বরে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
গোপন সূত্রে আমাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদক জানতে পেরেছেন, জ্ঞানতাপস আবু ত্বহা আদনান দীর্ঘকাল ধরেই এক মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে দিনরাত এক করে ফেলেছিলেন। তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল অত্যন্ত জটিল ও মানবকল্যাণমুখী – ‘নারীকুলের মনস্তাত্ত্বিক গঠন, দুর্বলতার উৎস এবং প্রেমরসের প্রতি স্বাভাবিক আকর্ষণের নিগূঢ় রহস্য উন্মোচনপূর্বক ন্যূনতম বিড়ম্বনায় সর্বাধিক নারীর পাণিগ্রহণের বৈজ্ঞানিক কৌশল উদ্ভাবন’। এই মহাকর্মকাণ্ডের মূল লক্ষ্য ছিল, সমাজের বিভিন্ন স্তর, বয়স ও অঞ্চলের নারীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন করে তাঁদের অন্তরের গোপন কথা, দুর্বলতার সূক্ষ্ম পথ এবং ভালোবাসার প্রতি আদি ও অকৃত্রিম আকুতিকে নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করা। এই মহৎ গবেষণার স্বার্থে তিনি বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের ‘পরীক্ষামূলক নমুনা’ বা নিরীক্ষাধীন পাত্রী নির্বাচন করে তাঁর তত্ত্বের বাস্তব প্রয়োগ ঘটিয়েছেন।
গবেষণার প্রথম ধাপ শুরু হয়েছিল রংপুর অঞ্চলে, যার সাংকেতিক নাম ছিল ‘অপারেশন বেবিসিটার’। এক তরুণীকে ‘শিশু তত্ত্বাবধায়ক’ হিসেবে নিয়োগ প্রদানের নামে তাঁর সঙ্গে দিনের পর দিন গোপন আলাপচারিতার কুঠুরিতে (হোয়াটসঅ্যাপ) নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন করেন এই মহান বিজ্ঞানী। তরুণীর রূপের প্রশংসা, তাঁর আলোকচিত্র সংগ্রহ করা এবং ভবিষ্যতের স্বামী কেমন চান – এই ধরনের গভীর মনস্তাত্ত্বিক প্রশ্নমালা ছুড়ে দেওয়া ছিল তথ্য সংগ্রহের এক অনবদ্য কৌশল। এই পর্বটি সফল করতে প্রকল্পের একনিষ্ঠ কর্মী, জনাব ইয়ামিন, অসামান্য ভূমিকা পালন করলেও গবেষণার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক আকস্মিক হস্তক্ষেপে এই সম্ভাবনাময় নিরীক্ষাটি মাঝপথেই স্থগিত করতে হয়। এতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তা আজও জনাব ইয়ামিন অশ্রুসজল চোখে স্মরণ করেন।
গবেষণায় বৈচিত্র্য ও গভীরতা আনতে দ্বিতীয় ধাপে শুরু হয় ‘অপারেশন মানবিকতা’ নামক এক যুগান্তকারী অধ্যায়। কর্কট রোগে আক্রান্ত মায়ের এক তরুণী কন্যাকে ‘মানবিক সহায়তা’ প্রদানের নামে প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই পর্যায়ে আবু ত্বহা আদনান প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে, সেবার মোড়কে প্রেমরসের আদান-প্রদান কতটা কার্যকর হতে পারে। দিনের পর দিন নিবিড় আলাপচারিতা, তরুণীকে নিজ দায়িত্বে মহানগরীতে এনে যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করা এবং স্ত্রী কে এই নিরীক্ষার তথ্যভান্ডার থেকে শত হস্ত দূরে রাখা – এই সবই ছিল গবেষণার তথ্যকে দূষণমুক্ত রাখার কঠোরতম নিয়মের অংশ। কিন্তু হায়, এই মহৎ উদ্দেশ্যও ভুল ব্যাখ্যার শিকার হয়!
তবে প্রেমরস গবেষণার ইতিহাসে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর অধ্যায় রচিত হয় আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনানের গৃহস্থালি পর্যায়ের নিরীক্ষায়, যার নাম দেওয়া যেতে পারে ‘কলিজাখণ্ড তত্ত্ব’। বাসার নিত্যদিনের কাজে সহায়তাকারী এক তরুণীর সঙ্গে তাঁর ‘আমার মোহাব্বত, আমার পুরো কলিজাটা’ বলে সম্বোধন করাকে সমাজবিজ্ঞানীরা ‘শ্রেণিভেদের ঊর্ধ্বে প্রেমরসের সর্বজনীন আবেদন’ শীর্ষক গবেষণার এক প্রামাণ্য দলিল বলে মনে করছেন। দূরালাপনীতে আঠারো মিনিটের গভীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ এবং অভিমানী বার্তার আদান-প্রদান প্রমাণ করে, এই গবেষণা কতটা গভীরে পৌঁছেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এখানেও প্রধান তত্ত্বাবধায়ক এই ‘মাঠপর্যায়ের কাজ’ দেখে ফেলায় গবেষণাপত্রটি প্রকাশের আগেই ধামাচাপা দিতে হয়, যা ছিল বিশ্বপ্রেমিক সম্প্রদায়ের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি।
গবেষণার চূড়ান্ত এবং সবচেয়ে সফল পর্যায় ছিল ‘সিরাত প্রতিযোগিতা থেকে সংসার’ শীর্ষক পরীক্ষামূলক কর্মকাণ্ড, যার গোপন অভিসারের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ‘যিন নূরাইন সেন্টার’। এই প্রকল্পের অধীনে এক বিজয়িনীকে সরাসরি অনলাইন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ‘শিক্ষিকা’ পদে নিয়োগ দিয়ে জ্ঞানতাপস আদনান প্রমাণ করেছেন যে, মেধা ও মহব্বতকে একই সুতোয় গাঁথা সম্ভব। বিজয়িনীর সঙ্গে সেন্টারে নিয়মিত চাক্ষুষ পর্যবেক্ষণ, নির্জনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিবিড় আলাপচারিতা, আলোকচিত্র বিনিময় এবং এমনকি তাঁর শরীরের কোথায় তিল আছে তা মুখস্থ করে ফেলা – এই সবই ছিল গবেষণার চূড়ান্ত সাফল্যের ইঙ্গিত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গবেষণার এই পর্যায়ে এসে মাননীয় কর্ণধার এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, তিনি একজন স্বচ্ছ বিজ্ঞানী হিসেবে তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন প্রধান তত্ত্বাবধায়ক তথা স্ত্রী নিকট পেশ করেছিলেন। কিন্তু কে জানত, এই স্বচ্ছতাই তাঁর জন্য কাল হয়ে দাঁড়াবে!
এদিকে, ‘জ্ঞানতাপস আদনান গুণমুগ্ধ পরিষদে’র সদস্যরা এক বাক্যে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। পরিষদের মুখপাত্র আমাদের প্রতিবেদককে জানান, “এসবই জ্ঞানতাপসের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। তিনি রাস্তায় নারীদের দিকে তাকিয়ে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলেন, কারণ তিনি জীববিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে সৃষ্টিকর্তার অনবদ্য সৃষ্টির শৈল্পিক দিক বিশ্লেষণ করেন। তাঁর নারী সংক্রান্ত সমস্যা আছে মানে হলো, তিনি নারীদের সমস্যাগুলো খুব ভালোভাবে বোঝেন, যা তাঁর গবেষণার জন্য অপরিহার্য। আর বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ তো গবেষণারই অংশ। একজন বিজ্ঞানীকে তো তাঁর গবেষণাগারে কাজ করতেই হবে! তাঁকে শান্তিতে গবেষণা করতে না দিলে মানবজাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।”
সব মিলিয়ে, একটি মহৎ গবেষণা প্রকল্প ভুল বোঝাবুঝির নির্মম শিকার হওয়ায় জ্ঞান-বিজ্ঞানের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা। তবে তাঁরা আশাবাদী, সকল বাধা ও ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে জ্ঞানতাপস আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান অচিরেই তাঁর ‘ছুলাছা-রুবায়া’ প্রকল্পের চূড়ান্ত ফলাফল জাতির সামনে তুলে ধরবেন এবং আরও নতুন নতুন ‘পরীক্ষামূলক নমুনা’ নিয়ে গবেষণার বিস্তৃত ময়দানে ফিরে এসে পুরুষকুলকে মুক্তির পথ দেখাবেন।
পাঠকের জন্য আবু ত্বহা আদনান হুজুরের স্ত্রীর ফেসবুক স্ট্যাটাসটি এখানে এটাচ করে দেওয়া হলো:
ওয়াল্লাহি বলে কসম করে যা মিন করা হচ্ছে আমিও তো তার অভিযোগ করিনি। যিনার কত ধাপ তিনি কি জানেন না!আর ভিডিওতে একটা সামান্য নমুনা দেখুন তার ওয়াল্লাহির কত দাম। আমি জানি বিষয়গুলো আপনারা জানতে চান না। স্বাভাবিক, আপনাদের জায়গায় হলে আমার অবস্থানও এটাই থাকতো। তবে পরিস্থিতির দাবী সাপেক্ষে যাদের জানার আগ্রহ তারা পড়ুন…(রব্বুল ইযযাতের কসম আমার একটা শব্দও মিথ্যা না, বরং আরো অনেক বিষয় আছে যা সামনে আনিনি)আদনান সাহেবের সাথে আমার বিয়ে পরকিয়া করে হয়নি। তার ১ম পক্ষ নিজেই অনুরোধ করে বিয়ে করিয়েছেন। আমার সাথে, কাজী সাহেবের সাথে সরাসরি সে কথা বলেছেন, মিরপুর-১০ এ বিয়ে হয় এ ব্যপারে ওখানের কাজী সাহেব নিজেই সবকিছুর প্রমান। আদনান সাহেব আমাকে দেখেছেন, আমার মায়ের সাথে কথা বলেছেন পরেরদিন কাজী অফিসে আমার পরিবারের উপস্থিতিতে বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর তিনি প্রোগ্রামে চলে গিয়েছেন, আমি মাদ্রাসায় চলে এসেছি। আমি তার পুরনো প্রেমিকা বা আগে জানাশোনা ছিলো এমনও কেউনা। তিনি তখন সেলিব্রিটি বা এতো ফেমাস কেউনা। আর তার জীবন জুড়ে শুধু আমিই কেনো এর উত্তর হচ্ছে তিনি আমাকে সেভাবে কথা দিয়েই তার জীবনে রেখেছেন। নিজ লিপ্সার অন্যায় হালকা করতে, ঢাকতে আমার ব্যপারে তার অন্যতম চটকদার অভিযোগ হচ্ছে আমি তাকে তার ১ম পক্ষের হক আদায় করতে দেইনি, এটা কি অযৌক্তিক নয়? যেখানে তারাই আমাকে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জীবনে এনেছে, ওয়াদার উপর ওয়াদা দিয়েছে আমি তারই ওয়াদার বাস্তবায়নের উপর প্রশ্ন উঠালে আমাকে অপরাধী বানিয়ে ফেলা হচ্ছে!!! ১ম পক্ষ তার জীবনে দায়িত্ব শুধু,সওয়াবের মাধ্যম,তার বলা কথা,কাজ ও সে সম্পর্ক এমনই ছিলো। যদিও এখন চিত্র উলটে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়,বরং ১ম পক্ষ তার জীবনে বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ট্রাম্প কার্ড। এ বিষয়গুলোর অনেক বিস্তৃত ব্যখ্যা, তার প্রতিশ্রুতি, আলোচনার প্রমাণ সব আছে। প্রয়োজনে সামনে আনা যাবে। আমার বর্তমান লিখা এ টপিকে নয়।এবার আসি প্রসঙ্গে…ভক্তগণ যে আমাকে অপরাধী সাব্যস্ত করতে আমার অতীত জীবনের ছেড়ে আসা ভুল,অন্যায়, কলঙ্ক যাই বলিনা কেনো সামনে এনে একজন বর্তমান অপরাধীকে নিষ্কলুষ বানাচ্ছেন এটা কি আহকামুল হাকিমীনের কাঠগড়ায় আদৌ মার্জনীয়?আপনারা তো আমার অতীতের অপবিত্রতা দ্বারা তার বর্তমান অপবিত্রতা ঢাকতে চাচ্ছেন মাত্র।তবে সত্যের প্রভাব তো দুর্দমনীয়, উপরে যাই বলা হোকনা কেনো।ভক্তরা বলছেন ৩/৪ আরো বিয়ে করবে সমস্যা কোথায়?আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন কত মেয়ের সাথে তিনি কথা বলবেন। পিক নিবে, একান্তে বসবে, প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের নামে ইন্টারভিউ নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করবে, কত মেয়ের সাথে আর কত বছর? অতঃপর ছুলাছা রুবায়ার দাবী থেকে এ যোগাযোগ, অনুভূতির আদান-প্রদান হালাল থেকে হারাম হবে? কত বছর পর? কত মেয়ের সাথে সময় কাটানোর পর?দুই বছর আগে রংপুরের এক মেয়ের সাথে অনেক দিন হোয়াটসঅ্যাপে কানেক্ট থেকে আমার বেবির দেখাশোনার নাম করে মেয়ের সাথে ফোনে কথা বলা পিক নেয়া অতঃপর আমাকে প্রেশার দেয়া এ মেয়েকে আসার সময় বাসায় নিয়ে আসবে সে তার সাথে। আমার বেবি দেখাশোনা করবে এ অজুহাতে আমাকে পাগল করা। তার বিশ্বস্ত ইয়ামিন জানেনা? আমি কি ওদের প্রমান দেইনি? মেয়েটার পিক চেয়ে নিলো তার প্রশংসা করলো নিজ চোখে দেখলাম এবং আবার বিয়ে করতে কেমন পাত্র চায় জিজ্ঞেস করলো, এরপরও অনেক দিন এ মেয়ের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখলো। ইয়ামিন নিজ মুখে বলেছে আপু মেয়েটাকে সরাইছি ভাই আমার উপর নারাজ। এর ভেতরেও আছে কত কথা কয়টা লিখবো।এরপর পরই শুরু করলো আরেক মেয়ে নিয়ে মেয়ের মা ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী তার মায়ের জন্য টাকা উঠায় আর এ সুবাদে মেয়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ তবে এখানে ঐ মেয়েটার ইনটেনশন খারাপ ছিলো না তবে আদনান জনাবের উদ্দেশ্য ছিলো মেয়েটা অবিবাহিত অল্প বয়স কোনোভাবে তার বাগে আনা যায় কিনা, মেয়েটাকে নিজ দায়িত্বে ঢাকায় আনা সব খরচ বহন করা আমাকে কোনো একসেস না দেয়া, আমি চেয়েছিলাম ওকে যদি হেল্পই উদ্দেশ্য হয় তবে মেয়েদেরকে আমাকে ডিল করতে দাও কিন্তু না সে এ মেয়ের সাথে কত কত মাস যোগাযোগ রেখেছে। সে কি আস্ফালন ছিলো এ মেয়েকে পাওয়ার পর তার কতটুকু লিখে বোঝানো যায়!তারপর আবার আরেক মেয়েকে মাদ্রাসা করে দেয়া সঙ্গত কারণেই এ মেয়ের ডিটেইলস বললাম না স্থানও না। কারণ মেয়েটার বিয়ে হয়ে গিয়েছে জানি।এদের সবার সাথে তার হালাল সম্পর্ক! ওকে মেনেও যদি নেই তবুও কি তার এভাবে মেয়েদের সাথে নানা ইস্যু ক্রিয়েট করে জুড়ে থাকা উচিত? যেখানে সে নিজেই বলে তার নারী সংক্রান্ত সমস্যা আছে, মাহরাম দেখলেও প্রবলেম হয়। শোয়াইব হুজুর আছে একজন তাকে সে এসব শেয়ারও করেছে, আমি জানি কেউই মুখ খুলবেনা, কারণ আপনাদের গালি খেতে চায়না কেউ। প্রয়োজনে সত্য মরে যাক মিথ্যার জয় হোক তবুও তারা কেউই কথা বলবেনা।রাস্তায় মেয়ে দেখলে আমি পাশে থাকা সত্ত্বেও সুবহানাল্লাহ, মাশাল্লাহ বলা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকা তার এ ক্যারেক্টার এর কথা কে না জানে। কিন্তু কেউ বলবেনা। তাঁর নজর হেফাজত না করার কারণে সে ধ্বংস হয়েছে। আমি আমার পরিবার আমার গোছানো সংসার আমার দুটো বেবি ছন্নছাড়া আজ। আমি তার জন্য কি করিনি! ৫ বছরের সংসার জীবনে আজও তাকে আমি নতুন বরের মতো ট্রিট করি, সাজাই, এতোকিছুর পরও সবঠিক হয়ে যাওয়ার আশায় রঙিন রেখেছিলাম। তার কেনো কারো প্রেম লাগবে, প্রেমিকা লাগবে! সে মানুষকে বলে আমি তাকে কষ্ট দিয়েছি এর উত্তর কি জানেন! “যে পুরুষের চোখে নতুন নারীর লিপ্সা তার জন্য নিজ স্ত্রীর অগাধ ভালোবাসাই যন্ত্রণা” পাশে থাকতে চাওয়াই যন্ত্রণা, কাছে থাকাই যন্ত্রণা।দ্যান আরেক মেয়ে আমার মাদ্রসায় নার্সারির বাচ্চাদের পড়ায় আবার আমার বাসায়ও কাজ করে সে মেয়েকে টাকা হাদিয়া দেয় কিছু লাগলে তাকে বলতে বলে তার নাম্বার দেয়। তারপর থেকে শুরু হয় এ মেয়ের সাথে। মেয়ে কাজে আসলে তার অস্থিরতা শুরু হয়ে যায়। আমি কিছুটা গেস করি কিন্তু বাদ দেই। অতঃপর একদিন আমার সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় আমাকে আদনান সাহেব থ্রেট দেয় “এমন কিছু করবো যা কল্পনাও করতে পারবা না”। আমি কিছুটা সন্দেহ করি। তারপর তার ফোনে দেখি এ কাজের মেয়ে সাথে ১৮ মিনিট কথা, এ মেয়ের আবার সেকি অভিমান ভরা মেসেজ যেখানে লিখা আমি আপনার উপর রাগ আছি। আরো স্ক্রল করে উপরে যাই দেখি – আমার মোহাব্বত, আমার পুরো কলিজাটা,আমার মানুষটা এ কাজের মেয়েকে মেসেজ দিয়ে জিজ্ঞেস করে আপনি কোথায় দুইদিন ধরে দেখিনা। ভাবতে পারেন আমার কেমন লাগে! সে মেয়ে আবার তাকে মেসেজ দেয় মাদ্রাসায় চাপ আছে দুইদিন তাই আসবোনা, কেনো কোনো দরকার ইত্যাদি। কি পরিমাণ ঘনিষ্ঠতা ফ্লেক্সিবল কথাবার্তা, আমারই ক্ষেত্র বিশেষ সাহস হয়না তার সাথে কথা বলতে যেখানে। তারপর যখন আমি এগুলো সব দেখে ফেললাম তখন আমার সামনেই আবার মেয়েকে কল দিলো সে মেয়ে জিজ্ঞেস করে কোথায় আপনি, আদনান সাহেব ঝাড়ি দিলো কেনো কি দরকার। মেয়ে ভয়ে কিছুনা বলে ফোন রেখে দিলো, আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো। আমি এত্তো আঘাত পেলাম, মেয়েটাকে ডেকে এনে ২টা চড় লাগালাম, বাসা থেকে বের করে দিলাম, মাদ্রাসা থেকেও। কিন্তু সমস্যা যখন ঘরে তখন আর কতজনকে বিদায় করা যায়!আমার থেকে ফোন দূরে রাখা শুরু ফোন ধরা নিষেধ, এমনকি এমনই আচরণ করছে যে আমি রীতিমতো তার ফোনের দিকে তাকানোও নাজায়েজ ভাবতে শুরু করি।ভয় করি। এমন আরো যে কতো কতো মেয়েকে মাদ্রাসা করে দিবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়,দিয়ে এঙ্গেজ থাকে। কথা বলে। মাঝে আরো কতো সিরাত প্রতিযোগিতা, টিচার নিয়োগ ইত্যাদির নামে আরো কতো মেয়ের সাথে তার কথা। তার পর্যন্ত ছেলেরা পৌঁছাতে পারেনা। তবে মেয়েরা ঘনিষ্ঠও হতে পারে। আপন ভাইবোনের মতো হালাল সম্পর্ক এগুলো তাইনা! এরই ধারাবাহিকতায় লাস্ট সিরাত সিজন ৩ এর বিজয়ী মেয়েকে তার অনলাইন প্রতিষ্ঠানে উস্তাযা বানিয়ে দিলো এবং এ মেয়েকে চোখে রাখা শুরু করলো। মেয়েটা ডিভোর্সী সাথে আবার আলেমাও তার পছন্দের লিস্টে থাকলো কথাবার্তা চালালো বহুমাস থেকে। আমার উপর অবর্ণনীয় মানসিক নির্যাতন চলতে থাকলো। দোষ খুঁজে ফায়ার হয়ে রংপুর গেলো এবারই বিয়ে করে ঢাকায় নিয়ে আসবো এগুলো বলে আমার থেকে বিদায়ও না নিয়ে চলে গেলো, আমি মায়ুস হলাম, মেনে নিলাম ওকে আলহামদুলিল্লাহ। এসে নিজেই বলা শুরু করলো জান আমার তোমাকে ছাড়া চলবেনা এ মেয়েটার সাথে প্রতিদিন ২০/৩০ মিনিট করে কথা বলে দেখলাম, পছন্দ হয়না। প্রায় ১০ দিন পর এসে এগুলো বলে আমাকে আবার কাছে নিলো। অথচ এদিকে কাহিনি হলো এ মেয়েকে বাদ দেয়ার পেছনে রিজন আমি নই বরং এয়ার হোস্টেস। তারপরের ঘটনা আপনারা জানেন আমি নিচে পিক আর ভিডিও দিচ্ছি আপনারাই বলবেন এ ভাবে যোগাযোগ করা কি তবু্ও লিপ্সা নয়? ছুলাছা রুবায়া বলে বলে আর কত। এ মেয়ে আদনান সাহেব সেন্টারে গেলেই এসে দেখা করা শুরু করলো, নিয়মিত সাক্ষাৎ, ফোনে কথা বলা পিক আদান-প্রদান, আগের প্রেমিকা, এক ঘন্টা একা অফিস রুমে অবস্থান, প্রত্যক্ষদর্শী তার সিরাতের অফলাইন স্টুডেন্টরা জানালো এ মেয়ে বসে বসে ফোনে চ্যাটিংয়ে ব্যস্ত, আবার উস্তাদের ওয়াশরুম ব্যবহার করা। এসব ছাড়াও আমার সাথে শেয়ার করা তার নিজ অভিব্যক্তি, বলে বলে আমাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করা, এ মেয়ে তার কতো ঘনিষ্ঠ বোঝানো, সে এ মেয়ের কোথায় কোথায় তিল আছে তা অব্দি জানা। এগুলো আমাকে দিয়ে ডিল করাতে চাওয়া, আমি কি তার বড় বোন নাকি মা ছিলাম? সেতো আপাদমস্তক আমার রঙ ছিলো, আমার গোটা দুনিয়া। পিকে নিজেরাই দেখে নিন বই নিয়ে স্টুডেন্ট হয়ে সিরাতের ক্লাসে অংশগ্রহণ করা কি বিয়ের জন্য কথা বলতে আসার নমুনা?মেয়েদের সামনে মুখ ঢেকে রাখে আর সরাসরি আদনান সাহেবের সামনে মুখ খুলে বসে থাকে। শেষ সারির রঙিন বোরকায় আসা মেয়েটিই তার প্রেম।আমি কেনো এ প্ল্যাটফর্মে এগুলো বললাম?কিছুদিন আগে এক স্টুডেন্ট তার নামে অভিযোগ এনেছিলো হাদিয়া দেয়ার ব্যপারে গড়িমসি নিয়ে, সে বোন কেনো এনেছিল এটা একমাত্র ভুক্তভোগীই জানেন। সে অনেক মাস ধরে তাদের দারস্থ হচ্ছিলেন, সমাধান হয়নি। এখানে বলা মাত্রই তাদের টনক নড়ে, তারা অনলাইনের মানুষ অনলাইনেই কেবল পাওয়া যায়। তেমনই আমি দুই বছর যাবৎ সমাধানে আসতে চাচ্ছি আমাকে সাহায্য করা হয়নি, বসা হয়নি। কথা বলতেও সুযোগ দেয়নি, বড়রা ডাকলেও যায়নি। এবার ইনশাআল্লাহ সমাধান হবে। তাছাড়া এটা ছাড়া তিনি কখনোই আর শোধরাবে না,সমস্যা সলভও হবেনা। এবার হয়তো তিনি সবচেয়ে পরিশুদ্ধ মানুষদের একজন হবে। শুধু আমার ভাগ্যেই এ পরিশুদ্ধ মানুষটি হলোনা। অন্য কেউ তার জীবনে সুখে থাক।আলহামদুলিল্লাহ।আমি কি চাই?আমি এসব ধারাবাহিক যন্ত্রণায় ক্ষতিগ্রস্ত, আমার সময়, আমার মা’মুলাত ক্ষতিগ্রস্ত। সব বরবাদ হয়ে যাক আমার পরকাল বাকি থাক। আমার আর কোনো চাওয়া, আশা, আকাঙ্খা, রঙ কিচ্ছু নেই। আমি আর তার চেহারা দেখতে চাইনা, আমার চেহারাটাও আর দেখাতে চাইনা।আপনি কিভাবে তার এমন ক্ষতি করলেন?যে ব্যক্তি স্বয়ং নিজের ক্ষতি করে তার ক্ষতি অন্যের করতে হয়না। আমি নই, তিনি নিজেই নিজের হন্তক।আপনি মুসলমানের দোষ গোপন না রেখে প্রকাশ করলেন?এমন একজন ব্যক্তির এহেন কান্ড নিছক ব্যক্তি কেন্দ্রিক ত্রুটি কিভাবে ভাবলেন! এটাতো তার সতর্ক হওয়া, রিলেটেড প্রত্যেকের সতর্কতা। যার অন্য উপায় আর বাকি নেই।আপনাকে নাকি আদনান সাহেবের পরিবার মেনে নেয়নি?রিডিকিউলাস! আমি আড়াই বছর হয় পুরোপুরি ঢাকা স্যাটেল হয়েছি। তার আগে আমি রংপুর ছিলাম। সেখানে তার মা আমার সাথে থাকতো, তখন অনেক বুঝিয়েও তার প্রথম পক্ষকে রাজী করানো যায়নি তাদের সাথে তার মায়ের থাকার ব্যপারে। বর্তমানে তার মা যে অবস্থায় আছে সেটা আমার হাতে সাজানো সংসার ছিলো। তারা কিছু মাস আগেও আমার বাসায় এসেছে বরং আমিই খুব কম সময় মানুষের সাথে কাটাই।আপনি আমাদের সবর করতে বলেন অথচ নিজে আমল করেন না?আমার জীবনে গুনাহে জর্জরিত অতীত আছে, ডিভোর্সের দাগ আছে,বেবি ছিলো তারা লিখে নিয়ে নিয়েছে আমি এটাও জানি আমি শব্দ করলেও মানুষ আমাকেই খারাপ বলবে, ভাববে। বর্তমানে আমি যতই পবিত্র জীবনে অভ্যস্ত হইনা কেনো আমার দোষগুলোই চর্চা হবে, এ একটা বিষয় ভেবে ভেবে আমি আমার কলিজাটা বিছিয়ে রেখে দিয়েছিলাম এ মানুষটার পায়ের নিচে। নিরপেক্ষ ও প্রশস্ত মন হলে সহজেই বোঝার কথা একটা ডিভোর্সী মেয়ে কি পরিমাণে চেষ্টা করে তার পরবর্তী সংসার জীবন গুছিয়ে রাখতে। এখন সবরের বিচ্যুতি ঘটেছে তা নয়। বরং সমাধানে সচেষ্ট হয়েছি মাত্র। সমস্যা জিইয়ে রাখার নাম তো সবর নয়। لَا يُكَلِّفُ الله نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا