কলিজা ছিঁড়ে ফেলব: শান্তির পায়রা সারজিস আলমের মুখে মানবতার বাণী!

'কলিজা ছিঁড়ে ফেলব' শান্তির পায়রা সারজিস আলমের মুখে এ কেমন সম্প্রীতির বাণী! 'Will Tear Out Livers' A Message of Harmony from the Dove of Peace, Sarjis Alam! 'কলিজা ছিঁড়ে ফেলব' শান্তির পায়রা সারজিস আলমের মুখে এ কেমন সম্প্রীতির বাণী! 'Will Tear Out Livers' A Message of Harmony from the Dove of Peace, Sarjis Alam!

বক্তব্যের সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট: নেসকো কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ‘কলিজা ছিঁড়ে ফেলব’ ঘোষণা সারজিস আলমের।

বিশেষ প্রতিবেদক, দৈনিক কার্টুনুস: পঞ্চগড়ের পুণ্যভূমিতে এক অভূতপূর্ব মানবিক বিপ্লবের সূচনা হলো। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের দিকপাল, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হৃদপিণ্ড ও কলিজা বিশেষজ্ঞ, শান্তির পায়রা সারজিস আলম এক ঐতিহাসিক ভাষণে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ নেসকোর কর্মকর্তাদের জন্য বিনামূল্যে কলিজা উন্মোচন ও প্রতিস্থাপন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। এই ঘোষণায় পঞ্চগড় জুড়ে আনন্দের বন্যা বয়ে গেলেও নেসকোর কর্মকর্তারা তীব্র কৃতজ্ঞতায় আত্মগোপন করেছেন বলে জানা গেছে।

ঘটনার সূত্রপাত গত শনিবার রাতে। পঞ্চগড়ের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আয়োজিত এক লংমার্চের সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন ‘লুঙ্গির নিচের আওয়ামীলীগের‘ সাবেক ছাত্রনেতা সারজিস আলম। তিনি যখন তাঁর জ্বালাময়ী ভাষণের মাধ্যমে সমাজের সব অন্ধকার দূর করার প্রতিজ্ঞা করছিলেন, ঠিক তখনই মঞ্চের আলোসহ পুরো এলাকার বিদ্যুৎ চলে যায়। আর এতেই মহাত্মা সারজিস আলমের হৃদয়ে জমে থাকা মানবপ্রেম উথলে ওঠে। তিনি বুঝতে পারেন, পঞ্চগড়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা বিদ্যুৎ এবং এর সমাধান করতে হলে নেসকোর কর্মকর্তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে।

অন্ধকারের মধ্যেই তিনি তাঁর বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা দেন, “নেসকোর যে মালিক, তাকে এবং তার বাপকে জবাব দিতে হবে। যারা এটা করছে, তারা রাজনৈতিক… (অপ্রকাশযোগ্য বিশেষণ)। এই দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেব, তাদের কলিজা কত বড় হইছে। কলিজা ছিঁড়ে ফেলব। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব।

উপস্থিত জনতা প্রথমে এই ঘোষণাকে হুমকি মনে করলেও পার্টির এক জ্যেষ্ঠ নেতা ও উদীয়মান বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “আপনারা হুজুরের কথার গভীরতা বুঝতে পারেননি। তিনি আসলে নেসকোর কর্মকর্তাদের কলিজার কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে চেয়েছেন। একটি সুস্থ কলিজাই কেবল পারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে। তাই তিনি নিজ হাতে তাদের কলিজা পরীক্ষা করে দেখতে চান। এটি একটি মহৎ চিকিৎসা সেবা, হুমকি নয়।”

তিনি আরও যোগ করেন, “এটি তো আমাদের পুরোনো এবং অত্যন্ত সফল একটি জনসেবামূলক প্রকল্প। ২০২৪ সালের গণ-আন্দোলনের সময় আবু সাইদ মুগ্ধের মতো কিছু সৌভাগ্যবান তরুণকে আমরা আমাদের ‘সশরীর অঙ্গসংস্থান প্রদর্শন’ নামক একটি পাইলট প্রকল্পের জন্য নির্বাচিত করেছিলাম। কৌশলগত কারণে বিষয়টিকে তখন আমরা ‘হত্যা’ বলে প্রচার চালালেও, আমরা আসলে তাদের কলিজার বিশেষ যত্ন নিয়েছিলাম।”

এদিকে, সারজিস আলমের এই বিপ্লবী ঘোষণায় অনুপ্রাণিত হয়ে এনসিপির যুবশক্তির কর্মীরা পঞ্চগড়ের বিভিন্ন স্থানে ‘কলিজা পরীক্ষা ও সংরক্ষণ কর্মসূচি’ পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দলের এক কর্মী জানান, “নেতা নির্দেশ দিয়েছেন। এখন আমরা নেসকোর কর্মকর্তাদের খুঁজে বের করে তাদের কলিজা পরীক্ষা করব। কারো কলিজায় সমস্যা থাকলে, সেটা রাস্তায় ফেলে দিয়ে নতুন কলিজা লাগানোর ব্যবস্থাও আমরাই করব। সব বিনামূল্যে। এটাই তো আসল মানবসেবা।”

এ বিষয়ে কথা বলতে পঞ্চগড়ের বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক রহমত আলীকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, “এটি রাজনৈতিক যোগাযোগের একটি নতুন ধারা, যাকে বলা যায় ‘অর্গানো-পলিটিক্যাল ডিসকোর্স’। এখানে নেতা সরাসরি শারীরিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মাধ্যমে তাঁর বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। যারা এটিকে সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ বা মবোক্রেসি বলছে, তারা আসলে রাজনৈতিক বিবর্তনের এই ধাপটি বোঝার মতো জ্ঞানী নয়। সারজিস আলম আসলে একজন দূরদর্শী নেতা।”

সর্বশেষ প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, নেসকোর কর্মকর্তারা সারজিস আলমের এই অভাবনীয় বদান্যতায় এতটাই আপ্লুত যে, তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপদ স্থানে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য ধ্যানমগ্ন হয়েছেন এবং তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখেছেন। পঞ্চগড়ের সাধারণ জনগণ এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কবে সারজিস আলম তাদের কলিজা ছিঁড়ে ফেলবে আর কবে রাস্তায় পরে থাকা কলিজা দেখার মতো বিরল দৃশ্য উপভোগ করতে পারবে।

#, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #, #

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *