“তুমি কি আমাকে লাগাতে দিবা?” এক প্রশ্নেই তোলপাড় বাংলাদেশের নতুন রাজনীতি।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গন যখন রাষ্ট্র সংস্কার এবং অর্থনৈতিক সংকটের মতো গুরুগম্ভীর বিষয় নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক তখনই একটি ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা জন্ম দেয় এক অবিস্মরণীয় বিতর্কের। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র নেতা সারোয়ার তুষারের এক সহকর্মীকে করা একটি প্রশ্ন ‘তুমি কি আমাকে লাগাতে দিবা?‘ কেবল দুটি ব্যক্তির ব্যক্তিগত আলাপচারিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং এটি হয়ে উঠেছে ‘নতুন রাজনীতি’র জন্য এক অগ্নিপরীক্ষা। আমাদের এই রম্য প্রতিবেদনটি, হাস্যকর অথচ তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহের এক ব্যঙ্গাত্মক দলিল।

এই প্রতিবেদনে আমরা দেখেছি, অভিযুক্ত নেতা সারোয়ার তুষার কীভাবে তার ‘তুমি কি আমাকে লাগাতে দিবা?’ প্রস্তাবকে ‘বিপ্লবী চেতনার সংযোগ’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন, যা তার মতে এক গভীর রাজনৈতিক দর্শন। অন্যদিকে, ঘটনার অপর প্রান্তে থাকা নীলা ইসরাফিল তার ‘জ্বলন্ত আগুনে হেঁটে আসার’ অতীতকে সামনে এনে এই প্রস্তাবকে তার ‘সতীত্বের ফাইনাল এক্সাম’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। এই দুই বিপরীতধর্মী চরিত্রের বয়ান ঘটনাটিকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে।

এই বিতর্কের আঁচ পড়েছে পুরো দলের ওপর। দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম পরিস্থিতি সামাল দিতে পার্টি অফিসে ‘লাগানো’ শব্দটিকেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, এই সংকট সমাধানে গঠিত হয় এক উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি, যাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় প্লেটোর রিপাবলিক থেকে শুরু করে কামসূত্র পর্যন্ত ঘেঁটে এই শব্দের প্রকৃত অর্থ খুঁজে বের করার। এই তদন্তপ্রক্রিয়া নতুন রাজনীতির অন্তঃসারশূন্যতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।