বাংলাদেশে এক নতুন যুগের সূচনা হয়েছে—‘আইয়ামে নোবেলিয়াত‘ বা নোবেলের যুগ! যে যুগে রোগীর জীবন বাঁচানোর চেয়ে একটি নোবেল পদক পাওয়া অনেক বেশি লাভজনক। আর এই যুগান্তকারী অর্থনৈতিক দর্শনের স্থপতি হলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আমাদের এই বিশেষ ব্যঙ্গাত্মক প্রতিবেদনে আমরা এই ‘ঐতিহাসিক’ সংস্কারের গভীরে প্রবেশ করেছি, যেখানে ড. ইউনূসের নিজের নোবেল পুরস্কারের কোটি কোটি টাকা সম্পূর্ণ করমুক্ত করেছেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের জীবন বাঁচানোর চিকিৎসা সরঞ্জামের উপর করের বোঝা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
এই রম্য ভিডিওটি কেবল একটি সংবাদ বিশ্লেষণ নয়, বরং এটি একটি সমাজের প্রতিচ্ছবি, যেখানে নীতি নির্ধারকের ব্যক্তিগত খেয়ালই হয়ে ওঠে রাষ্ট্রীয় আইন। আমাদের প্রতিবেদনে উন্মোচিত হয়েছে কীভাবে এই অদ্ভুত আইন দেশের মানুষের মধ্যে এক নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। দেশের প্রখ্যাত বিতার্কিক ও চিকিৎসক আল্লামা আব্দুন নূর তুষার এই ঘোষণায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে ডাক্তারি পেশা ছাড়িয়া নোবেল পাইবার সাধনায় নামিয়াছেন! তাঁর মতে, যেখানে রোগীর জীবন বাঁচানোর চেয়ে একটি নোবেল পদক অধিক লাভজনক ও সম্মানজনক, সেখানে ছুরি-কাঁচি চালাইয়া আর লাভ কী? এই ভিডিওতে তাঁর সেই বিক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়েছে।
আমাদের এই রম্য প্রতিবেদনে আমরা কেবল নোবেলের কর মওকুফের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকিনি। এই ভিডিওতে আরও গভীরে গিয়ে দেখানো হয়েছে, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং ‘স্বার্থের সংঘাতের’ এক বিশাল নীলনকশার অংশ। উন্মোচন করা হয়েছে কীভাবে গ্রামীণ সাম্রাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, যেমন গ্রামীণ ব্যাংক, একের পর এক কর অব্যাহতি ও রাষ্ট্রীয় সুবিধা লাভ করিয়াছে, যেখানে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারক এবং প্রতিষ্ঠানের সুবিধাভোগী একই ব্যক্তি। এই প্রতিবেদনে আপনি ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ ও কল্পনার আশ্রয়ে সেইসব ‘মেটিকুলাস ডিজাইনের’ এক ভিন্ন রূপ দেখতে পাবেন।
‘আইয়ামে নোবেলিয়াত’ দেশের তরুণদের সামনে এক নতুন পেশাগত সংকট তৈরি করেছে। তারা কি এখন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখবে, নাকি নোবেল জয়ের জন্য বিভিন্ন খণ্ডকালীন প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তি হবে? আমাদের এই প্রতিবেদনটি আপনাকে হাসাতে হাসাতে সেই কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি করবে। এই সকল জটিল প্রশ্নের উত্তর এবং ‘আইয়ামে নোবেলিয়াত’-এর গভীরতা সম্পূর্ণরূপে উপলব্ধি করিতে, আমাদের এই বিশেষ ব্যঙ্গাত্মক ভিডিও প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ দেখুন এবং এই ঐতিহাসিক ‘আইয়ামে নোবেলিয়াত’ যুগের সাক্ষী হোন।