নরেন্দ্র মোদিকে ইউনূসের উপহার, মোদি দিল উপদেশ। Yunus' gift to Narendra Modi, Modi gave advice.
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে একটি সাইডলাইন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৪ এপ্রিল), থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এই দুই নেতা বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে নরেন্দ্র মোদিকে ড. ইউনূসে একটি বাধাই করা ছবি উপহার দেন। আর নরেন্দ্র মোদি ড. ইউনূসকে দেন উপদেশ।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে ভারতের উদ্বেগের বিষয়টি ড. ইউনূসের সঙ্গে আলোচনায় তুলে ধরেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার উত্তর-পূর্ব ভারত সংক্রান্ত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি ‘যে কোনও অপ্রয়োজনীয় বক্তব্য এড়িয়ে চলার’ পরামর্শও দিয়েছেন।
একজন বাংলাদেশি হিসেবে আমি লজ্জিত।

আমাদের জীবদ্দশায় বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানকে এতটা মর্যাদাহানিকর অবস্থায় পড়তে দেখিনি—বিশেষ করে ভারতের মতো বন্ধুপ্রতিম দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পাওয়ার জন্য এমন “ছ্যাচড়ামি” করতে!

এমন দেখা হওয়ার চাইতে না হলেই বোধকরি ভাল হতো। সেই দেখায় অন্য অতিথিদের মতো সাধারণ সৌজন্য উপহার নয়—বরং নিজের জন্মপরিচয়ের ছবি তুল দিলেন মোদির হাতে। এরপর মোদির কাছ থেকে এমনভাবে ধমক খেলেন, যেন আর অযাচিত কোনো বক্তব্য না দেন আমাদের বর্তমান হেড অফ দ্যা স্টেট! কী অপমানজনক দৃশ্য!

তারপর আবারও দেখা করার অনুমতি চাওয়া হলো। শুধুমাত্র সুদি ইউনুসই অনুমতি পেলেন, কিন্তু এতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও তার সঙ্গে কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হলো না। পুরো বাংলাদেশকে যেন অপমানের চূড়ান্ত সীমায় নিয়ে গেলেন তিনি।

৮ মাসে ১৮টি চিঠি—একটি বৈঠকের জন্য! তারপর শেষ পর্যন্ত ২৭ মিনিট দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে অনুমতির অপেক্ষা—অবশেষে ২৭ মিনিটের এক সাক্ষাৎ।

এ কেমন অপমান! দেশের সম্মানকে এভাবে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া কি একজন নেতার কাজ? ছিঃ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *